মায়ের ভাষা কাইড়া নেওয়ার প্রতিবাদের গর্জে উঠেছে বাঙালির মনোপ্রান, দেহ, শরিলের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রতিটি অংশ। এমন কি নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিতেও দ্বিধাদ্বন্দ্ব করেন নাই। বাঙালির প্রানের দাবী, বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই। চাই মায়ের ভাষাকে রক্ষা করতে। জারিসারী গান, কবিতার ভাষায় প্রানে কথাগুলো বলতে চেয়েছে বাঙালি, বাংলা ভাষা দিবশ হিসেবেই পালন হচ্ছিল একুশ।ভাষার জন্য জীবন দিতে পারে, বিশ্ব মায়ের ভাষা দিবশ হিসেবে একুশ কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিবশের স্বীকৃতি দান করেছে।একুশের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার অঙ্গিকার করা হয়েছে।আমরা কি কারো মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা কাইড়া নিতে পারি ? আমাদেরকে অনুভব করতে হবে, অনুভুতি জাগাতে হবে প্রতিটি শিশুকিশোর, কিশোরীদের মনে একুশের ভাবনাকে।প্রকৃত ইতিহাস কে জানাতে হবে। একুশে ফেব্রুয়ারী ঐতিহাসিক ঢাকা মেডিকেল কলেজের আমতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো প্রতিবাদ সভা, মুহূর্তে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহিদ মিনারের সামনে বুকের রক্তে রক্তাক্ত রাজপথ, শফিক, রফিক জব্বার সহ অসংখ্য শহিদের স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে আমাদের শহিদ মিনার। ৭০ বছর অতিবাহিত হলেও শহিদদের মর্যাদা এতোটুকু ম্লান হতে দেয় নাই লাখো বাঙালির উপস্থিত জাগানদেয়। ম্লান হয়েছে ঐতিহাসিক আমতলা,অনেক সাংবাদিক জানেন না,নতুন প্রজর্ম্মকে জানানো হচ্ছে না বাংলা ভাষা আন্দোলনের সুতিকাগার আমতলা সম্পর্কে। একশত জনকে প্রশ্ন করেছিলাম, একজনের কাছেও আমতলার সঠিক উত্তর পাওয়া যায় নাই। অথচ ভাষা আন্দোলনের, সরকারী দলের, অথবা যেকোনো একটি সংস্কৃতি জোট একুশের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য শহিদ মিনারের পাশাপাশি ঐতিহাসিক আমতলায় একটি ছুট্টো করে আলোচনা সভার আয়োজন করলে আমতলা আজ অজানা থাকার কথা ছিলো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায়, মহামান্য আদালত বাংলা রায় ও নোটিশের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাকে, মায়ের ভাষাকে বুকে ধারন ও দেশ ব্যাপি বিচরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বিশ্বের সকল মায়ের ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন হয়তো প্রশাসনের কর্তারা ইংরেজি সাইনবোর্ডে কালিমা লেপন থেকে বিরত হবেন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।