প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ১১:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২, ১:১৫ পি.এম
একুশের চেতনা বিকশিত করার জন্য চাই সচেতনতা
রবিউল আলমঃ
ভাষা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে, ভাষাকে অনেকে, অনেক ভাবেই উপস্থাপন করেছে। ফেব্রুয়ারী আসলেই মায়ের ভাষার কথা মনে হয়, সালাম, রফিক, বরকতের কবরে ফুল দেওয়া হয়। শহিদ মিনারে লাক্ষো মানুষের জমাতে, আমার মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয় । যখন দেখি ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জুত নিয়ে শহিদ মিনারে। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষার প্রতি কালিমা লেপন ও হামলা। ভাষা আন্দোলনের সুতিকাগাড় আমতলাকে আলোচনায় আনা হচ্ছে না, আমতলা সম্পর্কে এখানকার অনেকেই অভিহিত নন। এমনকি আমতলায় হকারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কে বলতে পারবে এই আমতলায় বাঙালি জাতি, তাদের মায়ের ভাষার স্বীকৃতির জন্য প্রথম জমায়েত হয়েছিল। গর্জে উঠে ছিলো বাংলার আকাশ বাতাশ। একশ চুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করেছিল। বুকে রক্ত ডেলে দিয়েছিল বর্তমান শহিদ মিনারের সামনে। শহিন বুদ্ধিজীবীদের ইতিহাস রায়ের বাজারের বটগাছ ছাড়া পরিপুর্ণ হবে না। ভাষাসৈনিকদের ইতিহাস আমতলার ইতিহাস ছাড়া পরিপূর্ণ হতে পারে না। ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার পরে, বিশ্বের সকল ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকদের কে সচেতন করতে হবে। শহিদ মিনারের শ্রদ্ধাঞ্জলীর সময় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখার স্বার্থে শিশু-কিশোরদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য আলাদা সময় নির্ধারন করে দিতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.