April 20, 2024, 9:43 am
শিরোনামঃ
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাকসবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনে ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নিজেরাই মহাবিপদে আছে: ওবায়দুল কাদের শুধু প্রশাসন দিয়ে মাদক ও কিশোর গাং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে ? গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ভন্ড কবিরাজ বলেন তিনমাথা,জ্বীন দিয়ে ও গোখরা সাপের কামড় দিয়ে শেষ করে দিব জানা গেল কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ বাংলা ও বাঙ্গালীর নববর্ষঃ আঃ রহমান শাহ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানালেন কৃষক লীগ নেতা মোঃ হালিম খান পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড

আমেরিকা কি চায়, ভারত কি চায়, বাংলাদেশ কি চায় ? বিশ্বকে ভাবতে হবেঃ রবিউল আলম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Friday, May 19, 2023
  • 109 Time View

শেখ হাসিনার ভাবনার বিষয়ে গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য ভাবতে গিয়ে, নিজের জীবন কে উৎসর্গ করেছেন,করতে হয়েছে এই পৃথিবীর মহানায়কদেরকে। বিশ্ব মোড়লদের মাথাব্যথার কারণ হওয়াতে। লুটের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাতে। দেশপ্রেম বিহীন ক্ষমতার মোহে আপনাকে অন্ধ করতে পারে, শেখ হাসিনার সেই অন্ধত্ব বরন করবেন না। বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে, সৃষ্টিলগ্ন থেকে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়েছিলেন আমেরিকা,বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে পরাজয় ও প্রতিশোধের আগুন কিছুটা নিবারণ করেছিলেন। শেখ হাসিনার বুকের আগুন নিবারণ হবে না বাঙালি জাতির মুক্তি অর্জন ছাড়া।দেশ ও জাতির স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে,পৃথিবীর একক নেতৃত্বের জন্যে অনেক বিষয় আপোষ করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শক্তের ভক্ত,নরমের জম। সুযোগ সন্ধানী ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে একমিনিট সময় লাগে না। আমেরিকা যেই দেশের বন্ধু হয়, সেই দেশের জন্য বহিশ্রত্রুর প্রয়োজন হয় না। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পরে,ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে ইরানের সাথে যুদ্ধ লাগিয়, লিবিয়ার গাদ্দাফিকে রাশিয়ার থেকে আলাদা করে, পরের ইতিহাস কারো অজানা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিমান্তে কিউবা, সেই দেশের টিকিটি ছুতে পারলো না। উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভেনিজুয়েলার ছায়া মারাতে পারেনি। সৌদি আরব বৃদ্ধাংগুলি দেখানোর পরেও আঙ্গুল হিলাতে পারছে না। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমার যুদ্ধ লাগাতে ব্যর্থ হওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের রোষানলে শেখ হাসিনা। সুচিকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ, ডঃ ইউনুসকে নোবেল দিয়ে বাঙালি গৃহযুদ্ধের আশা পুরণ হয় নাই। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাস রচনা করেছেন ইউক্রেন,আমেরিকার বন্ধু হয়ে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে। পশ্চিমাদের চরিত্র ফুটে উঠেছে। ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রি, রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গোপনে তেল গ্যাস আমদানি ও রপ্তানীর খেলায় জেলেনস্কি হয়েছেন নাচের পুতুল।ইউক্রেনে মাটি ছাড়া আর কিছু থাকবে না বলে মনে হয়।বাঙালি কে সেই ফাঁদে ফেলতে না পারার জ্বালা মিটাইতে চায়, আমেরিকার।তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা পরিস্কার করতে হবে। পরিস্কার করার দায়ীত্ব একমাত্র শেখ হাসিনার, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া বৈধ অধিকার একজন জনগনের প্রতিনিধির, কোনো জেনারেলের নয়। যুক্তরাষ্ট্রেকে বার্তা দেওয়ার অধিকার সরকার প্রধানের। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন,শেখ হাসিনা সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে ? যারা তলে তলে তবলা বাজায়, তাদেরকে সরাসরি বলাই আমি ভালো মনে করি। পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিষয়টা সামনে এনেছে, আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তান থেকে আমেরিকার চির বিদায়ের ঘন্টা বাজছে।
তুরস্কের রিসেপ তায়েব এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণের জবাব জনগন দিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনার বার্তা শুধু আমেরিকার জন্য নয়, বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রের কাছে শ্রত্রুকে চিহ্নিত করেছে। দল ও জাতিকে সতর্ক করা হয়েছে,মির্জাফর চিনতে না পারলে ঐক্যের প্রয়োজন অনুভব করবে না। যারা নিয়েছেন,এখনো নিজেকে বেটা মনে করেন নির্বাচনের জন্য। সাত মাস আগে আপনাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, আপনি জিৎবেন, না আওয়ামীলীগ কে জিতাবেন ? শেখ হাসিনার দায়ীত্ব ও কর্তব্য পালন করছে।বাকী কাজটা করতে হবে বন্ধু রাষ্ট্রের ও বাঙালি জাতিকে। শেখ হাসিনার পরিস্কার ভাষায় বলেছেন, জীবন একটা, যেকোনো সময় চলে যেতে পারে। মৃত্যু যেনো কারো কাছে বাঙালি জাতির মাথা নোয়াতে না হয়,২৪ বার হত্যার চেষ্টা করেছেন,আল্লাপাকের ইশারা ছাড়া আমি আপনাদের মাঝে।এর চেয়ে বিস্ময় আর কি হতে পারে ? যারা উৎফুল্ল, যারা কিছুটা ভিতু, তাদের জন্য একটি বিষয় পরিস্কার করার প্রয়োজন অনুভব করছি। শেখ হাসিনার ১৪ বছর শাসন আমলে বিশ্ব বিনিয়োগের হিসেব করতে হবে। আমেরিকা কি চায় ? তাদের শিল্পের বিনিয়োগ, এখন আকাশচুম্বী। ভারত কি চায়, তাদের ট্রানজিট ও সিমান্ত নিরাপত্তা এখন ইতিহাস। বিশ্ব যা চেয়েছে, শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান স্বীকৃত । বাংলাদেশকে ইচ্ছে করলে তুরি মেরে ফেলে দেওয়া যাবে না।নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে হবে পুরো বিশ্বকে। স্বার্থ ছাড়া সম্পর্ক হয় না, দীর্ঘ সময় থাকে না। সকল শিল্পকারখানা তুলে নিয়ে যেতে পারবে না।
রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে, যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, ভারত চীন,জাপান দক্ষিণ কোরিয়া,বিশ্বের কোনো দেশ, তাদের শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে না। হরতাল ধর্মঘট, অবরোধ জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাবের ভুমিকার জন্য বাঙালি গর্বিত। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি অপরিসীম। তালেবান, আরএস ছাত্র শিবির, রোহিঙ্গা জঙ্গি, থাইল্যন্ডের এবং অঘোষিত পাকিস্তানের সেনা শাসন ছিলো আমেরিকার মদদে।বাংলাদেশের র‍্যাবের ভুমিকায় সেই আশার গুরেবালী,বিশ্ব নড়েচড়ে বসেছে। তালেবান ঘুরে দারিয়েছে, হামাস হিজবুল্লাহ আক্রমনত্ব হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে পালানো সময় এসেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে নাড়াচাড়া দিয়ে দেখছেন, শেখ হাসিনা ছাড়া বাঙালির অবস্থান। বাঙালি নড়েচড়ে বসলে, শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া আপনাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না। আমেরিকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ১৯৭১ স্বাধীনতার যুদ্ধে আমেরিকার জনগন আমাদের পাশে ছিলো,বাঙালি জাতি আজীবন মার্কিনীদের পাশে আছে, থাকবে। বাইডেনের শুভবুদ্ধির অপেক্ষা করবো, না হয় আগামী নির্বাচনে জনগণের রায়ের অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশের নির্বাচনের। ৭৫ ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, না হয় বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার জনগণের স্বার্থ বিনষ্ট হতে পারে। বিশ্ব শিল্প উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হবে।শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশকে, বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত রাখতে পারবে না।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও  খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102