প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৪, ১১:৫৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২৬, ২০২৩, ৪:২৪ এ.এম
আমার ভাইএ রক্তে রাঙানো একুশ, ভাষার ঐতিহ্য রক্ষা করে, বই মেলা বিচরণ ক্ষেত্র
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়, বাঙালির ভাষা আন্দোলনের একুশ, শহিদ মিনার বুকে ধারন করেছে,বিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশের স্বীকৃতি দিয়েছে ,বই মেলা ভাষার বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বই ছাড়া ভাষা রক্ষার কোনো মাধ্যম নাই। কাগজের দামে, প্রকাশনী না পাওয়াতে আমার ভাষা স্তব্দ। ওরা আমার ভাষা কাইড়া নিতে না পারলেও আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বইএর বিতরণ বন্ধ করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা, একুশের বই মেলা ২০২২ আলোচিত, বহুল প্রচারিত বইটি কোনো সরকারী ক্রয় তালিকায় নেওয়া হয় নাই। সরকারী ক্রয় তালিকায়, সরকারের আমলাদের লেখা বই,পুরণ করে। দুই-চারজন মহা কবি সাহিত্যিকের স্থান হলেও মন্ত্রী আমলাদের সহায়তার প্রয়োজন পরে।আমাদের মতো অঘোষিত কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস, বাংলা একাডেমি সংরক্ষণের প্রয়োজন অনুভব করে নাই। বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা এই বইটি ও বটগাছ সংরক্ষণের এগিয়ে আসবেন কিনা ? সেই লক্ষ্মণ দেখছি না। বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি সংরক্ষণের জন্য আদালতে যাইতে হবে, আমি ভাবতেও পারছি না।লেখা থেকে ভাষা, ভাষা থেকে জাতি কী একুশ নির্ভর হয়ে থাকবে ? ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার কী হবে ? সাহিত্যিক, কবি, সংস্কৃতি জগতের মানুষগুলো সাহায্য সহায়তায় উপর নির্ভর করে আর কতকাল বিনা চিকিৎসায় জীবনের শেষ সময় পার করতে হবে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতি কর্মী, মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে। সৃষ্টির মুল্যায়ন ছাড়া, সহায়তায় জীবন চলে না।মরণের সময় সহায়তায় দিয়ে জীবন রক্ষা হয় না। অর্থের সাগরে ছিলাম মাংস ব্যবসায়ী হয়ে,লেখার সাথে নীতি যোগ হয়েছে। কী কারণে নীতিবান রা অর্থকষ্টে ভোগে প্রত্যক্ষ করছি।এখন আর ইচ্ছে করলে পুরণ হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জীবনের শেষ চাওয়া, আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ সংরক্ষণ ও বইটি সরকারি ক্রয়ের তালিকাভুক্ত করার আকুল আবেদন।
বই,কবিতা,সুর সম্মানের,জীবন চলে না,সরকারের দেওয়া সম্মানটুকু আমলাদের অবৈধ দখলে থাকলে, লেখকরা হারিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে আমাদের অর্জন ভাষা আন্দোলন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.