মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আবারও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শ্রেষ্ঠ ডিসির পুরস্কার পেলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হয়েছেন বিপ্লব কুমার সরকার। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা।
মার্চ মাসে অস্ত্র, মাদক ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়।
আজ ১৮ এপ্রিল ২০২২ রোজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কাজের ভিত্তিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এবার ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করে প্রথম হয়েছে উত্তরা বিভাগ। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম আর পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. তোফাজ্জল হোসেন।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ও মিরপুর মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এএসআই মো. মিকাইল মোল্লা ও মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ডেমরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সন্তোষ বালা। বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এএসআই মো. মিকাইল মোল্লা ও চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন গাবতলি বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আবু জাফর তালুকদার মানিক।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।
মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ও অজ্ঞান/মলম পার্টির খপ্পরে পড়াদের উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী হানিফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের টিআই হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট/টিএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের পুলিশ সার্জেন্ট আব্দুল কাদের ও ডেমরা ট্রাফিক জোনের পুলিশ সার্জেন্ট মো. কৌশিক মাহমুদ।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১০টি বিভাগসহ ৫০ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, বিভিন্ন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।