April 25, 2024, 8:21 am
শিরোনামঃ
ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ এর লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল লিও ইয়ুথ ক্যাম্প জয়যাত্রা অনুষ্ঠিত জনমত পারমাণবিক বোমাকে পরাজিত করে,নির্বাচন সত্যকে উপজেলা নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে গরু ও মাংস আমদানীর বিতর্কে অংশ নিতে চাইছিলাম না। ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত কে বাঁচাতে,বিজেপি বিরোধী ঐক্য চাই তাপমাত্রা কমাতে যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার বুশরা কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাকসবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনে ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নিজেরাই মহাবিপদে আছে: ওবায়দুল কাদের শুধু প্রশাসন দিয়ে মাদক ও কিশোর গাং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে ?

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে নুরে আলম সিদ্দিকী হক শোক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Thursday, May 19, 2022
  • 289 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দৈনিক জনতার আদলত পত্রিকার সম্পাদক, রাজবাড়ী-২ আসনের জননন্দিত নেতা, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নুরে আলম সিদ্দিকী হক।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক আজ ১৯ মে ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, আবদুল গাফফার চৌধুরী আজ ১৯ মে ২০২২ রোজ বৃহষ্পতিবার লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

তিনি ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সুপ্রসিদ্ধ গানটি লিখে বাঙালীর হৃদয় অমর হয়ে আছেন।

বর্ষীয়ান লেখক ও সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মিডলসেক্সের এজোয়ারের মেথুইন রোডের ৫৬ নম্বর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন- মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম।

১৯৫০ সালে আবদুল গাফফার চৌধুরী পরিপূর্ণভাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে আবদুল গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান আবদুল গাফফার চৌধুরী। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন তিনি। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন।

এরপর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান তিনি। এরপরই তার প্রবাসজীবনের ইতিহাস শুরু হয়।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশি’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘একজন তাহমিনা’ ‘রক্তাক্ত আগস্ট’ ও ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।

 

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102