মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ অন্তর্বর্তী সরকারের নব নিযুক্ত দুই উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অপসারণ দাবি করে করা এক প্রতিবাদ সভা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা লেখেন।
আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশিরউদ্দীন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, সভা থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে হাসনাত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেফতার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’ এর আগে বিকেলে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সভা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় হাসনাত অভিযোগ করেন, ‘সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সাথে। ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে।’ উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নিয়োগ পাওয়াদের অবদান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
রোববার বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন—ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এর মধ্যে ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।