মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী ২০ জুন অনুষ্ঠিত হবে আদাবর থানা ও থানার অন্তর্গত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন।

ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে উঠছেন নানামূখি তৎপরতায়। আর সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন ঢাকা মহানগর নেতাদের দ্বারে।

সূত্র বলছে, থানায় শীর্ষ দুটি পদে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীতদেরই ঠাঁই হবে। এজন্য শেষমুহুর্তে এসে তারা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে নাম লেখাতে উদগ্রীব। থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন জন পদপ্রত্যাশীর নাম।

থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড ও ফেস্টুন স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন পোস্টার লাগছে থানার আনাচেকানাচে-দেয়ালে। অনেকে পছন্দের নেতাদের নামে এসব লাগিয়ে নিজেদের প্রচারও করছেন।

থানার রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে চায়ের আড্ডা কিংবা চলতি পথের আলাপেও উঠে আসছে এ প্রসঙ্গ। আদাবর থানার সাধারণ জনগণ ও দলীয় কর্মীদের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি আদাবর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজিব আমজাদ। একেবারে নির্লোভ, সাদামাটা, কর্মীবান্ধব এবং সমাজের সকল শ্রেণী পেশা মানুষের সাথে রয়েছে তাঁর নিবীড় সম্পর্ক। জনগনের যে কোন প্রয়োজনে, সুবিধা- অসুবিধায় সব-সময় নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন আর বঙ্গবন্ধু তণয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের নিবেদিত কর্মী নাজিব আমজাদ। স্থানীয় আওয়ামী পরিবারের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মনে করে, নাজিব আমজাদ ভাই আদাবর থানার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মানুষ। সে সাধারণ সম্পাদক হলে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করতে পারবে।

এব্যাপারে আদাবর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আগামী ২০ জুন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নাজিব আমজাদ বলেন, আদাবর থানায় আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে মূল্যায়ন করবেন বলে আমি আশা করি। আর আমি সেই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে, গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সংগঠনের জন্য অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং সহ-সভাপতি ও ঢাকা-১৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এর হাতে হাত রেখে তাদের নেতৃত্বে একই ভাবে কাজ করে যাবো। আর আদাবর থানাতে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দূর্নীতি বন্ধ করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটাব এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বীশেষে সকল মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবো ইনশাল্লাহ

আদাবর থানার তৃণমূলের দ্বায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আদাবর থানা  আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের মাধ্যমেই দলের নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে। তবে এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। এই বছরের শেষে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও আগামী বছরের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা। এজন্য তৃণমূলে সময় দেন এবং দল পরিচালনায় সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞরাই দলীয় সভানেত্রীর মনোনীত হবেন এব্যাপারে কারোরই দ্বীমত নেই।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে, আদাবর থানার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদক পদে নাজিব আমজাদ এর কোনো বিকল্প নাই, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেবার মতো পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, আদর্শিক-পরীক্ষিত নেতৃত্ব, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও গ্রহণ যোগ্যতা ইত্যাদি যেসব গুণের প্রয়োজন তার সবগুলো নাজিব আমজাদ এর মধ্যে বিদ্যামান রয়েছে।