আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-মাদক নির্মূল নাগিরিক কমিটি
৩৬/সি, কাকারাইল (গ্যারেজ পট্টি), দ্বিতীয় তলা, ঢাকা'য় জরুরী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বহিষ্কৃত যুবলীগ দক্ষিনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের অন্যতম সহযোগি, র্যাব কর্তক গ্রেফতাকৃত মেহেদী আলম, যুবরাজ ও শাহীনের সহযোগীদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা ও মাদকমুক্ত গ্যারেজ পট্টি ঘোষণা করার দাবীতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সন্ত্রাসী মেহেদী আলম গংদের কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ লোকমান, শামিম, আনোয়ার, মনির, জাহাঙ্গির খোকন, সুমন, বেল্লাল, শাহাজাহানসহ অন্যন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করবেন সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-মাদক নির্মূল নাগিরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে অন্যতম সালাউদ্দিন মো. নোমান।
উল্লেখ্য, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদী আলম (৪২) ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।শুক্রবার ভোরে রাজধানীর পল্টন এলাকার একটি বাসা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। মেহেদী আলমের সহযোগীর নাম যুবরাজ খান (৩২)।
র্যাব জানায়, মতিঝিল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগী যুবরাজ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।মেদেহী ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত এবং যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের অন্যতম সহযোগী। সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী গড়ে তুলেছিলেন চাঁদাবাজি, ফুটপাথ দখল করে চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধের আস্তানা। নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে পল্টনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দখল করেন।সেখান থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে নানা অপরাধ করতেন। সম্রাট গ্রেফতারের পর গাঁ ঢাকা দেন তিনি। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর আবারও সক্রিয় হন মেহেদী।
শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৩ জানায়, মেহেদী ও তার সহযোগীরা পল্টনের হোটেলে খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যেতে চান। এতে তাদের বাধা দেওয়ায় হোটেল কর্মীদের মারধর করেন। এমন অভিযোগে পল্টনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেহেদী ও তার সহযোগী যুবরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও তিন সহযোগী পালিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি ও ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, মিথিলা এন্টারপ্রাইজের নামে পল্টন এলাকায় মেহেদী মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে চাঁদা আদায় করতেন। তার কাছে ২টি প্রেস আইডি কার্ড পাওয়া যায়, যা সাধারণ জনগণকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করতেন। সাধারণ মানুষকে ফাঁসাতে বিভিন্ন ধরনের সিল ব্যবহার করতেন তিনি। ভয়ভীতি দেখাতে কখনো কখনো নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন মেহেদী ও তার সহযোগীরা।
এ ছাড়া তারা পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় পথচারীদের আটক করে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধারায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী যুবরাজের বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।