নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে কর্মস্থলে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সদরপুর উপজেলা বিএনপি, অঙ্গসংগঠন ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, সদস্যসচিব তরিকুল ইসলাম কবির মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক বাহালুল মাতুব্বর, বাবুল হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমির মো. দেলোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা যুবদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন, যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্সি ইশারত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, সদরপুর উপজেলার ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট।
অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে নিজ-কর্মস্থলে পুনরায় বহাল রাখা হোক।
তবে এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানান, ইউএনও আল মামুনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইউএনও আল মামুন বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর (শনিবার) সদরপুর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জানেন আমি এ-জাতীয় কোনো কথা বলিনি। কেন ওই ছাত্রনেতা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল) আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত প্রত্যাহারজনিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমার এডিসি পদে পদায়নসহ গাইবান্ধা জেলায় বদলি হয়ে আছে। ৩০ ডিসেম্বর ওই পদে আমার যোগ দেওয়ার কথা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আনিসুর রহমান সজল ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় এ অভিযোগ তোলার পর ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।