আমার জীবনটা আওয়ামীলীগ দিয়ে শুরু, বঙ্গবন্ধুকে কাছে পেয়েছিলাম বলে।বাংলার বানী পত্রিকার শাপলা কুঁড়ির আসর থেকে লেখা শুরু। ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ওয়াহেদুর রশিদ মুরাদ গাফফার চৌধুরী, সন্তুস গুপ্তদের ছায়াতলে। মজিব আদর্শ ধারন করেছি বলেই বাংলার মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের লেখক। ইত্তেফাক,খবর, সংবাদ, রূপালী, আমাদের অর্থনীতি সহ একাধিক পত্রিকাতে। আমাদের নতুন সময় এখনো নিয়মিত কলাম লেখে চলেছি।ধন্যবাদ নাঈমুল ইসলাম খানকে,লেখকের খাতায় বাচিয়ে রাখা জন্যে । ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবীতে চাপাটি হাতে মিছিল করেছি। জাতীয় সংসদে আলোচিত, বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত।মুক্তিযুদ্ধের শহিদ বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে ! আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বই, একুশের বই মেলা ২০২২ সর্বাধিক আলোচিত, বাংলাদেশ সহ বিশ্ব মিডিয়াতে প্রচারিত। সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা অনুপ্রানিত। এখনো সিটি করপোরেশন ও জেলাপ্রশাসক বটগাছটি অবৈধ দখলদার মুক্ত করার কোনো প্রয়োজন অনুভব করেননি।
লেখক, মনের কথা বলে, সমাজের, রাষ্ট্রের অসংগতির কথা বলে। মাদক, কিশোর গ্যং, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে। রাজনীতিকে ফুলিয়ে, ফাটিয়ে দেওয়ার কাজটি কোনো লেখকের নয়।
হিন্দি ছবির একটি ডায়লক,একি থালিকা চাট্টিবাট্টি সব রাজনৈতিক দল হলে! লেখকদের কি করার আছে ? বিবেকের তারনায় জনগণের পক্ষেই লেখতে হয়, রাজনীতির দুর্নীতির, প্রশাসনের ঘাপটি মেরে থাকাদের বের করে আনা দায়ীত্ব থেকে, কর্তব্য পালন করতে হয়। একজন সাংবাদিক ও লেখক রাজনীতি ও দুর্নীতির সাথে আপোষ করলে, রাজনীতিকে দুর্নীতি মুক্ত করা যাবে না। আদর্শ ছাড়া লেখক দিয়ে মজিব আদর্শ বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। উচ্চশিক্ষায় লেখক হওয়া যায়, আদর্শ ধারন ছাড়া গরিব দুঃখী মানুষের মন জয় করা যায় না। টাকা দিয়ে লেখক কেনা যাবে না। লেখকদের সম্মানের স্থানটা পুরণ করতে হবে। লেখকদেরকে নিয়ে মুক্ত আলোচনা করতে হবে। প্রোফাইল দেখে চায়ের আমন্ত্রণ করতে হবে। সংস্কৃতি সাহিত্য কবিতার মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাস বিস্তার ও বিকশিত করার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
মজিব আদর্শ ক্ষমতা ভোগের নয়,সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য । অপরাজনীতি প্রতিরোধের, বিপথগামি জঙ্গিবাদের গলাটিপে দরার জন্য।
লেখকের মাঝে আদর্শ থাকতে হবে।লেখক খুঁজে পাওয়া যায় না, গড়ে তুলতে হয়। বাংলার বানী পত্রিকা মজিব আদর্শের লেখক গড়ার কারখানা বলেই জানতাম । নুরে জান্নাত আক্তার সিমা, সাবান মাহমুদরা নতুন প্রন্মর্মের ছিলো, এখন প্রতিষ্ঠিত। বাংলার বানীকে বস্তা বন্দী করে আওয়ামীলীগের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম হারিয়েছেন। ১৪ বছর একটানা ক্ষমতা ভোগের পরেও একটি পত্রিকা প্রকাশনিতে নাই,যেখানে লেখকদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ব্যাক্তি মালিকানায় ব্যবসায়ীদের পত্রিকায় নীতি আদর্শের কথা লেখা যায় না,পেটের অভাবে। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ধর্মীয় শাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মুক্ত মনা লেখক'রা হত্যার তালিকায় থাকলেও আওয়ামীলীগের তালিকাতে খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রচার সেলের দায়ীত্বে থাকাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে জবাবদিহিতায় আনতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।