প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ৭:২৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০২১, ৫:৩১ পি.এম
অর্থের রাজনীতি আপনাকে অমরত্ব দিতে পারবে নাঃ রবিউল আলম
ক্ষনিকের মোহে যারা জীবনের অর্জন বিষর্জন দিয়েছেন, তাদের মাঝে অন্নতম বির মুক্তিযোদ্ধা সাজাহান সিরাজ। সমাজতান্ত্রিক না হয়েও সমাজতন্ত্রের দুয়া তুলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিপদগামী করেছিলেন। ভোগ আর বিলাশের জন্য বিএনপির মন্ত্রী হয়েছিলন, আজ তার মৃত্যু বার্ষিকীতে একটি বিজ্ঞতিও দিলো না বাংলাদেশী জাতীয়তাদীরা। আসলে সাজাহান সিরাজরা বাংলাদেশী জাতীয়বাদী ছিলো না।মনেপ্রানে বাঙালি হয়ে ডাক্টার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বির উত্তম আব্দুল কাদের সিদ্দিকী এবং যারা বাংলাদেশী হয়ে চেয়েছেন, তারা কিন্তু কম অপমান অপদস্ত হন নাই। প্রেসক্লাবে আর একটু হলে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করতো না। ডঃ কামাল হোসেনকে দিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক বলাতে। পর্দার অন্তরালে সিরাজুল আলম খান একমাত্র সমাজতান্ত্রিক হয়েও বিশ্বাসঘাতকদের জন্য নিজের লক্ষ অর্জনে ব্যার্থ। নিঃসংকোচে জীবনের স্বপ্নগুলো মাটির নিচেই চাপা দিতে হলো। হারাতে হলো জাতির জনককে। স্বাধীনতার মুল শক্তি বিপন্নতার জন্য অপবাদ বহন করতে হয় তাকে। কে কি পেয়েছেন জানিনা। তবে অর্থের রাজনীতি আপনাকে অমরত্ব দিতে পারে না, বার বার প্রমানিত হয়েছে। বার বার প্রমানিত হচ্ছে মতবাদ ও আদর্শ বিচুক্ত হয় না। আমরা অনেকেই দল ত্যাগের নাটক করি অর্থ ও প্রতিপত্তির জন্য। বিমতের কাছে কি গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি ? ডাক্টার জাফরুল্লাহ, ডক্টর কামাল হোসেনের কম চেষ্টা করেছেন,অপমান অপদস্ত ছাড়া কি পেলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ও স্বাধীনতার ঘোষক বলতে হলো, একে খন্দকার মিথ্যে তথ্য দিয়ে বই লিখলো। জাতির পিতাকে তার আসন থেকে কি একচুলও নরাতে পারলো ? বিশ্বাসঘাতকতার জন্য অনেকেই মির্জাফরের উপাধি নিয়ে একুল ওকুল সব হারিয়ে জীবনত্যাগ করেছেন। পলাশীর মির্জাফর নামের অস্তিত্বকে রক্ষা করার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া হলো না। তবু কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিছু ছাড়তে পারছেন ওরা ? গৃহহীন, বিদ্যুৎ বিহীন, শিল্পহীনত, রপ্তানিহীন বাংলাদেশকে মহাকাশ, মহাসাগর জয় করে দেওয়ার পরেও ওরা সমাজতন্ত্রিরা বললেন ইসলাম নাই। ৫৬০ টি মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স গড়ে দেওয়ার পরে হেফাজত বলছেন সহি আলেমরা এই কমপ্লেক্সে নাই। জন্ম থেকেই যারা বেজর্ন্মা, তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তা সঠিক পথ আবিস্কার করেন নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।
Copyright © 2024 খাস খবর বাংলাদেশ. All rights reserved.