March 28, 2024, 9:03 pm
শিরোনামঃ
রাজধানী মোহাম্মদপুরে এতিম শিশুদের ইফতার করালেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত চাঁদর পুড়িয়ে পণ্য বর্জন হয় না,ভারতীয় পণ্যে অর্জিত রক্ত বর্জন করুণ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের শ্রদ্ধা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে লিটন মাস্টার এর ঈদ উপহার বিতরণ পপুলার লাইফ পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিএসইসি টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আঃ সাত্তার সওদাগর রোজাদারদের ইফতার করালেন সঠিক ইতিহাস রচনার বিকল্প নাই : জেবেল – মোস্তফা ভোক্তার অধিকার রক্ষা, ডাল চাল,আলু পেয়াজ মাংসে সীমাবদ্ধ নয় শেখ হাসিনার বিকল্প নাই বলে আওয়ামীগারদের এতো কষ্ট

অর্থনীতি অর্থ না বুঝলে, বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল কতদিন বাংলাদেশ থাকতে পারবে 

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Wednesday, May 10, 2023
  • 79 Time View

কতদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের সেবার জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে ? এই বিষয় শুধু বিদাতাই বলতে পারবে। দেশ আছে, থাকবে প্রশাসনের আমলাদেরকে, দেশের প্রতিটি নাগরিক কে নতুন করে ভাবতে হবে, পশুর বর্জ্য দেশের দ্বিতীয় রপ্তানী খাত বাঁচাতে চাইলে। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশ, কোরবানীর ঈদ আসলে ভাবনার জগত উন্মুক্ত করা হয়। আলোচনার দর্জা খুলে দেওয়া হয়। আলোচনার বিষয় গুলোকে বাস্তবয়ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মিডিয়া টায়ালের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। কোরবানীর চামড়া কেনো বিক্রি হয় না ? গরুর মাংস আটশ টাকা কেজি, রপ্তানিযোগ্য পশুর বর্জ্য রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এবং কার্যকারীতা সম্পর্কে দেশের জনগণ অভিহিত নন। পশুপালন উন্নয়নের মালিকানার ফার্ম ছাড়া, সরকারের করণীয় সম্পর্কে অভিহিত নন। চামড়া শিল্প উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সুফল এখনো বাংলাদেশ অর্জন করতে পারেনি। শেখ হাসিনার আন্তরিকতা কে দুর্বল করার জন্য কি প্রশাসন উৎপেতে অপেক্ষায় থাকে ? ১৫ বছরে চামড়াকে রপ্তনীর অনুমতি দিতে পারলো না।পশুপালন উন্নয়নের সাধারণ কৃষক কে সংযুক্ত করতে পারিনি , পশুর বর্জ্য হাড় শিং নাড়ী ভুঁড়ি পেনিস গোল্লা যৌনাঙ্গ, রক্ত সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে পারিনি।দেশের দ্বিতীয় রপ্তানী খাত এখন ধ্বংসের মুখে, ডলার এখন কুকুরে খাচ্ছে। কারো মাথা ব্যথা নেই। মাংসের কেজি আটশ, হাজার। কোরবানীর হাটের খাজনা দ্বিগুণ, তিনগুণ হলে-ও মেয়র,স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে যেনো কিছুই করার নেই। বানিজ্য মন্ত্রনালয় কাচাঁ চামড়ার মুল্য নির্ধারণ করাই যেনো তাদের দায়ীত্ব মনে করেন।প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয় মনে করেন,ব্যাক্তি মালিকানার ফর্মের মাধ্যমে গরু মহিষ মোটাতাজা করে দেশটা কে সয়ংসম্পুর্ণ করে দিবেন। মিডিয়াতে আত্মতুষ্টির ডেকুর তুলেন।
কোরবানি করে আমাদের পশু বাচবে, নির্দ্বিধায় বলেন। কোরবানীর হাটে ক্রেতা যখন পশুর অভাবে অস্থির, তখন চোরা কারবারি বলেন আর গরুর বেপারী, রাখাল বলেন, জীবন বাজি রেখে, ভারত মিয়ানমা থেকে পাচার করে আনা পশু দিয়ে চাহিদা পুরণ করেন। আর কতকাল এই ভাবে দেশ চালাতে হবে ? বাংলাদেশের আবহাওয়া মিষ্টি পানি পশুপালনে বিশ্বের সবচেয়ে উপযুক্ত, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।একটি বাড়ী একটি খামার পশুপালন উন্নয়নের আওতায় আনতে পারলে, বিশ্ব উন্নয়নের মডেল থেকে বিশ্বের পশুপালন উন্নয়নের মডেল হতে পারতাম। ছোট্ট একটা পদ্মনদীর ইলিশ মাছ আমরা বিশ্বকে খাওয়াচ্ছি সঠিকপরিকল্পনার জন্য।
পশুপালন উন্নয়ন পরিকল্পিত হলে, রপ্তানীর বিপ্লব ঘটাতে পারতাম,যার চাহিদার শেষ নেই।পশুপালন উন্নয়নের জন্য ভারতে একটি মন্ত্রনালয় করে নিয়েছেন, বাংলাদেশে সাত থেকে আট টা মন্ত্রনালয়ের অধিনে, একজন মন্ত্রী সব পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারবেন না, তার উপর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো আছেই।
আমরা যদি চামড়া শিল্পের ব্যর্থতা খুঁজতে যাই, তবে একাধিক মন্ত্রনালয়ের উপর অভিযোগ দার করানো হয়।
অর্থ, বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়, একে অপরের অপরাধ খুজে। অধিদপ্তর একটা বড় ফ্যাক্ট। চামড়া শিল্পের মালিকদের অর্থ আত্নসাৎদের হিসেব, চামড়া না কিনে সিন্ডিকেটের জবাবদিহি নাই। আপনি কাকে বুঝাবেন ? সরকার রপ্তানীযোগ্য পন্য সামগ্রিই উন্নয়নের জন্য জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা রেখেছে। দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর কে, একজন মাংস শ্রমিকের প্রশিক্ষনের জন্য যাতায়াত ও খাওয়া দাওয়া সহ খরচ হবে এক হাজার টাকা। অথচ রাস্তা থেকে পাঁচশ টাকায় শ্রমিক ভাড়া করে এনে প্রশিক্ষনের নামে হয় তামাশা। ভিডিও ধারণ করার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এর মোহড়া চলে। দেশ, জাতিকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য । একি কাজ হচ্ছে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে। বার বার আবেদন নিবেদন, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন, ১০ দিন মাংস ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করেছে, মাংসের দাম কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য, এমনকি গরু হাটের চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য মহামান্য আদালতে যাওয়া হয়ছে। কারো দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় নাই। অর্থনীতির অর্থ শেখ হাসিনা আর কীভাবে বুঝাবেন ? মোবাইল কোম্পানির কল আইতে দশ টাকা, যাইতে দশ টাকা। সাধারণ মানুষের ব্যবহারে অনুপযুক্ত ছিলো বলেই টেলিযোগাযোগে বিপ্লব হয় নাই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হাতে এখন মোবাইল হওয়াতে তথ্যপযুক্তির আজ বিশ্বের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে আছে,এমনকি ভারতের চাইতে এগিয়ে। মাংসের দাম কমাতে পারলে, খাদ্য তালিকায় বেশী করে যুক্ত হতো। পশুর বর্জ্য রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারতো। চামড়া চামড়াজাত পণ্য ও পশুর বর্জ্য রপ্তানীর এবং বৈদিশিক মুদ্রা আয়ের একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতো। কতকাল লেখছি, বলেছি, পশুপালন উন্নয়নের কোনো পারমাণবিক উপাদানের প্রয়োজন হয় না, যা বিদেশ নির্ভর।
আমাদের কৃষকের মাধ্যমে চরঞ্চল বনঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনে একটি বিহৎ বাশুর প্রজ্জলন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। কৃষি ব্যাংক ঋনের ব্যবস্তা করবেন। সরকারের জাকাত ফান্ডের অর্থ, শিল্পপতি ও রাজনৈতিকরা জাকাতের কাপর না দিয়ে, কৃষকের হাতে দুইটি গরু মহিষ ও ছাগলের বাচ্চা উপহার দিয়ে পারিবারিক সহায়তা ও পশুপালনে উৎসাহিত করবেন। দেশ হবে দারিদ্র্য মুক্ত। মাত্র একবছরে বিশ্বকে আমরা মাংস খাওয়াবো, পশুর বর্জ্য রপ্তানি করে ইতিহাস সৃষ্টি করবো। বাংলাদেশের রপ্তানীর একনম্বর স্থান হবে পশুর বর্জ্য।
মাংস হবে বাংলাদেশের চালিকা শক্তি। দেশ ও জাতির স্বার্থ বিবেচনা করলে, এইটুকু ত্যাগ আমরা করতেই পারি।সৎ নিষ্ঠাবান ও কর্মোঠ, দুর্নীতি মুক্ত কিছু জনশক্তির প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকারের সফলতার পেছনে অবশ্যই কিছু সফল মানুষ আছে, তাদের মাধ্যমে আমরা শুরু করতে পারি। এখানে একটি বিষয় পরিস্কার করার প্রয়োজন, আমরা শুধু মাংস খাওয়ার জন্য পশু জবাই করি না। মাংস খাওয়ার পরে পশুর অবশিষ্ট অংশ মানুষের জীবন বাচাতে ও জীবন সাজাতে প্রয়োজন হয়। মাংস না খেলেও ঔষধের জন্য পশু জবাই করতে হবে। এই সুযোগটাই নিচ্ছে ভারত। গরু রপ্তানি করলে ধর্ম থাকে না, গরু জবাই করে মাংস রপ্তানি করলে ধর্মের কোনো অসুবিধা হয় না। এই বিচিত্র ধর্ম ব্যবসায়ীদের কবলে বাংলাদেশ সহ বিশ্ব নির্যাতিত হচ্ছে। ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করাতে, আমাদের কৃষক জবাব দিয়েছে। গরু নিয়ে রাজনীতির জবাব দিতে পারছি না, সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সঠিল পরিকল্পনার অভাবে।
গরু পাচারের অর্থে ভারতে রাজনীতি চলে, চলে সিমান্ত রক্ষিদের লুট, ইতিমধ্যে প্রমানিত। জীবন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের নিরহ কৃষক কে। ভারত আমাদের স্বাধীনতার সহ যোদ্ধা, এই কথা অস্বীকার করছি না। তাই বলে পশুপালনে ও তিস্তায় বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে পারেন না। আমাদের অর্থনীতির অর্থ আমাদেরকে বুজেঁ নিতে ও গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত অংশিদার হয়ে উঠেছে অঘোষিত ভাবে। আগরতলা থেকে গাড়ী পদ্মাসেতু দিয়ে কলকাতা যাচ্ছে। মাতার বাড়ী বন্দর ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো ব্যবহার করবে, তিস্তা বাঁধের সুবিধা নিতে চাইবে। সিমান্ত হত্যা বন্ধ করতে চাইলে,বাংলাদেশের রপ্তানীর বাজার রক্ষার্তে পশুপালনের বিকল্প দেখছি না।
অর্থনীতির জন্য রপ্তানি ঠিক রাখতে না পারলে ভারত আমাদের বন্ধু থাকবে না, গরিবীর জন্য, হুকুম দাতার ভুমিকা নিতে চাইবে। শেখ হাসিনার দিকে চেয়ে না থেকে, নিজ নিজ দায়ীত্ব কর্তব্য পালনে এগিয়ে আসুন। শুধু কোরবানি আসলে মিডিয়া টায়ালের আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না,স্থায়ী সমাধানের পথ আবিস্কার করুন।
লেখক-মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102