এস.এম রবি,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটা নিয়ে ব্যাপক অসংগতি ধরা পড়েছে, ঈদের পর স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় গাছ বিক্রি কমিটি গঠন করে গাছ বিক্রি করা হয়েছে, তথ্য নিয়ে জানা গেছে, লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমীন গত ৫/৭/২২ তারিখে অবসর গ্রহন করেন, এরপর ম্যানেজিং কমিটি মিটিং করে সহকারী শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন তিনি ৬/৭/২২ তারিখ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন, গেল ১০/৭/২২ তারিখ ঈদুল আযহা'র চারদিন পর ১৪/৭/২২ তারিখ গাছ বিক্রি কমিটি গঠন করে এক সভার আয়োজন করা হয়, কমিটির সভাপতি ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইউএনও এস.এম শাহীন, সদস্য-সচিব হিসাবে ছিলেন অবসর গ্রহন করে বাড়ি চলে যাওয়া প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমীন, সদস্য হিসাবে ছিলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ, উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সভায় সর্বচ্চ দরদাতা হিসাবে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনামুল হক কে ৩টি কড়াই গাছ ১টি মেহেগুনি, ১টি বকুল ফুলের গাছ ৩৬৭০০ টাকায় ১৫% ভ্যাট শর্তসাপেক্ষে বিক্রি করা হয়! এই একই গাছ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনামুল হক কালীগঞ্জের কাট ব্যবসায়ী বিশারতের নিকট ৯০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন, কাঠ ব্যবসায়ী বিশারতের কাছে গাছে কেমন লাভ হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এই গাছ কাটা ও পরিবহনে আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে, তাহলে সব মিলে গাছ কেনায় আমার খরচ ১লাক্ষ ২০ হাজার ৫০০, বিক্রি করলে ২৫ হাজার লাভ হবে। এই গাছের দাম নির্ধারণ করেছিলন উপজেলা বনকর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, গাছের দাম এত কম নির্ধারণ করা হয়েছে কেন সিরাজুল ইসলামের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গাছের মাপ নির্ধারণ করতে আমি যাইনি আমাদের অফিসের স্টাফ গিয়েছিলো, স্কুলের কোন দায়িত্বে না থাকার পরও প্রধান শিক্ষক সেজে মিটিং থাকার কারন জানার জন্য অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃরুহুল আমীন কে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি! স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবকের দায়িত্বে থাকা সভাপতি এনামুল হকের নিকট বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত, বিএনপির আমলে বিএনপি নেতা মগা আমজেদ এই স্কুলের সভাপতি হওয়ার পর মোটা অংকের নিয়োগ বানিজ্য করার পর স্কুলটি প্রথম আলোচনায় আসে, দীর্ঘদিন সকল সংস্কার বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি একটি একাডেমি ভবনের নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে, সেই ভবন নির্মাণের জায়গায় গাছ গুলো ছিলো, গাছের দাম কম দেখিয়ে স্কুলের টাকা লুটপাটের ঘটনাকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক নিন্দা জানিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।