খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ দেশে হঠাৎ করে সামরিক আইন জারির অভিযোগে অভিশংসিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল। শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে তিনি অভিশংসিত হন। ভোটাভুটিতে ২০৪ জন আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইয়লের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। খবর বিবিসি, সিএনএন।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের লক্ষ্যে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ২০৪ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৮৫ জন বিপক্ষে, তিনজন ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং চারটি ভোট বাতিল হয়।
ইয়ল অভিশংসিত হবার কারণে, এখন অবিলম্বে তাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। সেদিন তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। তবে শেষমেশ তার শেষ রক্ষা হলো না।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওই দিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল গত সপ্তাহে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করাকে ঘিরে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। এরপর তাকে দায়িত্ব থেকে হটানোর ডাক দেয় বিরোধীদলের নেতারা। এমনকি ইয়লের দলের প্রধান তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে বলেন। তবে এত কিছুর পরেও গত ১২ ডিসেম্বর টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ইউন বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। ইউন আরও বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে তদন্ত বা অভিশংসন যাই আনা হোক আমি দৃঢ় থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। তবে মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর দখলে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসাবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত আটটি ভোট পেতে হতো। অপরদিকে, শাসক দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।