প্রতিটি মানুষের এক একটা নিজস্ব ভাবদ্বারা আছে জীবন চলার, রাজনৈতিক জীবনের আদর্শ উদ্দেশ্যে আছে, একবার রাজনীতিকে বুকে ধারন করলে, ফিরে আসা যায় না। মানুষের ভালোবাসা কি আর ফেরত দেওয়া যায়। নাকি জাতির সাথে মুনাফেকি।বুকে ধারনকৃত আদর্শ জাতির জনককে হরিয়ে ১৫ আগস্টের পরে অনেক নেতা কর্মী পাগল হয়ে আছে এখনো।
মুজিবকে যারা একবার চোখে দেখেছে, তার কথা শুনেছে, তাদের রাজনৈতিক পাগলামির জন্যই আঃলীগ এত অত্যাচেরের পরেও টিকে আছে আর বঙ্গবন্ধু যাদের গায়ে একবার হাত দিয়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা লেখে বুঝানো যাবে না।
৭০ এর নির্বাচনে নৌকার মাঝী হওয়ার অপরাধের শাস্তি বঙ্গবন্ধুর কোলে স্থান হয়েছিলো, পরে একবার বুকে নিয়ে ছিলো, সেই থেকে নিধরাহীন জীবন, আঃলীগ পাগল হয়েছি।
৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে এই পাগলামি মাত্রা হয়ে পরে সীমাহীন। বেশ কিছুদিন স্থতব্দ ছিলাম। আঃলীগের গোপন কর্মসুচি মাধ্যমে এগিয়ে চলে রাজনীতি।
৮১ শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ্য রাজনীতির আবির্ভাব হলে, শেখ হাসিনার পাগল হয়ে পরি। রাজপথের সাথেই জীবনের সঙ্গী করে নিলাম।
৯৪ ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবীতে চাপাতি হাতে মিছিল নিয়ে রাজপথের ছবি বাংলাদেশ সহ বিশ্ব মিডিয়ার আলোড়ন তুলে। জাতির জনক হত্যার বিচারের পথ কিছুটা হলেও এগিয়ে আসে।
৯৪ মেয়র নির্বাচনের পরে, রাস্তা থেকে আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি, তৎকালীন কমিশনার বুকে ধারন করলে, সাদেক খান পাগল হিসেবে আমার পরিচয় ৩৪ নং ওয়ার্ডে বিস্তর লাভ করে। অনেকেই আমাকে আঃলীগের পাগল হিসেবে চেনেন এবং পরিচয় করিয়ে দেন। আমি গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, মনে ধারন করেছি, পাগল ছাড়া রাজনীতি করেনা, পাগলামি ছাড়া কোনো কিছুই আপনি অর্জন করতে পারবেন না। ভদ্রলোক হয় নিরামিষ, নিজের জন্য, নিজের সংসার নিয়েই ভাবেন। আপনি পাগল না হলে দেশ, জাতিকে নিয়ে ভাবতে পারবেন না। নিজের জীবনকে অন্ধকার কারাগারে নিমজ্জিত করতে পারবেন না। ফাসীর কাষ্টে জীবনকে উৎসর্গ পাগল ছাড়া কে করতে পারে।
বাঙালী জাতির জন্য বড় পাগল ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২১ আগস্ট মেয়র হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন মায়া সহ যারা নিজের জীবনকে তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনাকে মানব বন্দন করে রহ্মা করেছেন, তাদেরকে পাগল ছাড়া কি বলবেন?
শেখ হাসিনার পাগলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশের উন্নয়ন দেখে। তবে যারা স্বার্থের রাজনীতির সাথে যুক্ত, তাদের মাঝে দল ও দেশ প্রেম পরিলহ্মিত হচ্ছে না। পাগল ছাড়া দলের জন্য দেশের জন্য জীবন দিতে পারবেন না। পাগলে হ্ম্যতাব নিয়ে আমি গর্বিত। এই জীবনটা দলের জন্য, দেশের জন্য জাতির জন্যইতো রেখে দিয়েছি। দুর্ভাগ্য বিএনপির পাগলের সংখ্যা কম হওয়াতে, অর্থের পাগলের সংখ্যা বেশি হওয়াতে। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার জন্য এদেশের মানুষ কত না জীবন দিয়েছে, এখনো জীবন নিয়ে দাড়িয়ে আছে দেওয়া জন্য।
খালেদা জিয়ার কারা জীবনেও একজন বিএনপির নেতা কর্মী জীবন দিয়েছে, আমার জানা নাই। নিজের সন্তানও দুরে সরে আছে।কার জন্য এতিমের টাকা আত্যসাৎ করেছেন, এ প্রশ্নের উত্তর কার কাছে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।