মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা মহানগর উত্তর তুরাগ থানার ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও রাজধানী তুরাগ থানার বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের কো-অপ্ট সদস্য, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মীবান্ধব জননেতা, সাজেদুল ইসলাম বলেছেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালে ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, এক-এগারোর সেনা শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্য, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানোর জন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে ১৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে জননেত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। সুতরাং ১১ জুন এই দিনটি শুধু ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।
সাজেদুল ইসলাম আরো বলেন, মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। পরে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন পান তিনি। ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি না পেলে আমাদের দেশের পরিস্থিতি পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হতো।
পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনাও টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চম বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।