মোঃ ইব্রাহিম হোসেন: গণতন্ত্রের মানসপুত্র উপমাহদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ।
আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২১ রোজ রবিবার সকালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সমাধিতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সংগ্রামী সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এর নেতৃত্বে দলের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক লিটূ, সদস্য মাহফুজা আক্তার রুমি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কৃষক লীগের সংগ্রামী সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদের সাহস ও প্রেরণা যোগায়। জাতি তার অবদান সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
উল্লেখ্য ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধি।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। ভাইবোনদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী ছিলেন সবার ছোট।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সব সময় গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। তিনি পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় ও গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন সোহরাওয়ার্দী। ছিলেন যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল নেতাদের অন্যতম। মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা হাইকোর্টের পাশে (তিন নেতার মাজার) দাফন করা হয়।