শেখ আসাদুল্লাহ্ আহমেদ (আপন), ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বিগত কয়েক বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ প্রচুর উন্নতি সাধন করেছে।ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে প্রতিনিয়ত জন-সাধারণের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা অব্যহত রাখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার বর্তমান জনবান্ধব অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বীর মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তান মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোহাম্মদপুর থানার সকলের জনপ্রিয় এএসআই মোঃ মোশারফ হোসেন এর আপ্রাণ চেষ্টায় হারানো মোবাইল ফোন নিয়মিত উদ্ধার করে মোবাইলের প্রকৃত মালিক কে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
গত ৩১ জুলাই ২০২৩ রোজ সোমবার রাজধানী মোহাম্মদপুর থানায় স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-২৩ মোবাইল ফোন হারানো জিডি করেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ভাগ্নে, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমির ফুফাতো ভাই, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি), পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর শশুর, জেলহত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদ্য সমাপ্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার।
জিডি করার ১২ দিনের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মোবাইলের প্রকৃত মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার বুঝিয়ে দেন মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা এবং এএসআই মোঃ মোশারফ হোসেন।
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা এবং এএসআই মোঃ মোশারফ হোসেন কে ধন্যবাদ জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার।
হারানো মোবাইল ফোন নিয়মিত উদ্ধার করে মোবাইলের প্রকৃত মালিক কে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার এএসআই মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুর থানার জনবান্ধব অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা স্যারের উৎসাহ ও নির্দেশনায় এই সেবা দ্রুত দিয়ে যাচ্ছি। মূলত পুলিশের সেবা সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা দেওয়ার জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা।তাছাড়া অনেকটা ভাল লাগা থেকেই শত ব্যস্ততার মাঝে এই কাজটি আমি নিয়মিত করে যাচ্ছি। একজন ব্যক্তি তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেলে যে আনন্দ পান সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি।যতদিন আমার এই সেবা করার সুযোগ থাকবে ততদিন আমি এভাবেই সাধারণ জনগণকে সেবা দিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
বীর মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তান ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা মোহাম্মদপুর থানায় যোগদানের পরই পাল্টে যেতে শুরু করেছে মোহাম্মদপুর থানার চিত্র। এখন পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়, পুলিশ জনগণের সেবকে পরিণত হয়েছে। ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা মোহাম্মদপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে মোহাম্মদপুরের ইতিহাসে।