মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুনের লেলিহান দেখে মাবতার সব-কটি বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছেন , মানবতার মা, রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে ইতিহাস সৃষ্টিকারী, বাঙালির প্রান,বিশ্ব শান্তির প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনা। সাত সমুদ্র, তেরো নদীর ওপার থেকেও মোহাম্মদপুর কৃষ মার্কেটের দোকানদারদের খরব নিয়েছেন। রাতেই সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান থেকে। সাদেক খান ভারী কণ্ঠে নেত্রী কাছে ব্যবসায়ীদের আত্ননাথ ও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন। আপা, সকালে কোটিপতি ছিলো, দুপুরে পাক হয় নাই। সহায়তা নিতে এসে চোখের পানি আটকারে পারছেন। ত্রান ও দুর্যোগ প্রতি মন্ত্রী ডাক্তার এনামুল রহমান বলেন, প্রধান মন্ত্রী ততক্ষণা আমাকে ফোন করে বলেছেন,হাত খুলে দাও ব্যবসায়ীদের যাতে কষ্ট না হয়। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ না হয়। এনামুর রহমান সাদেক খানকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শন করেন।
এক কোটি টাকা নগদ, এক হাজার বান টিন, এক মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য, এবং প্রয়োজনের আরো সহায়তা করা হবে,আগামীকাল থেকেই সেট নির্মাণের কাজ হবে। ব্যবসায়ীরা সাদেক খানকে ধরে কান্নায় ভেঙে পরেন, মনের আনন্দে।শত কষ্টের মাঝেও মানুষের হৃদয় কে জাগ্রত রাখা যায়, প্রমান করলেন শেখের বেটী। অনেক ব্যবসায়ী পোড়া ছাইয়ের পাশে বসে ফরিয়াদ করতে দেখলাম। মাবুদগো,এমন একটা প্রধান মন্ত্রী, এমন একজন এমপি সাদেক খান কে আমাদের কাছ থেকে কাইড়া নিও না । নারীদের ফরিয়াদ ছিলো হৃদয়বিদারক, একজন শিশু মাকে জিগ্যেস করছে, মা আমরা কি স্কুলে যাইতে পারমু না ? বাবার কাছে টেকা নাই ? উপস্থিত দর্শনাথিদের চোখের পানি আটকাতে পারছিলো না। আটকাতে পারছিলো না সাদেক খানের চোখের পানি। পানি ছাড়া আগুনের ভয়াবহতা এবার দেখলো মোহাম্মদপুর বাসী। আট, নয়টি পুকুর ছিলো মোহাম্মদপুর। পাশে ছিলো নদী পথ, আদাবরে নৌকা ভীরতো। আগুন লাগার পরে অনেক বাড়ীর গেট ও হাউজ ভেঙে পানি নিতে হয়েছে। শত শত কোটি টাকার ব্যবসা হলেও মার্কেটের সামনের দুই পাশে দুইটি ডিপ থাকলে, দুর্যোগে নিরাপত্তা দিতে পারতো ফায়ার সার্ভিস। প্রতিটি বাজার ও আধুনিক মার্কেটের পাশে পুকুর জলাশয় না থাকলে একটি করে ডিপ রাখতে হবে,জরুরী প্রয়োজনে। সব সরকার করে দিতে পারবে না, ফায়ার সার্ভিস আসার সময়টুকু যাতে প্রাথমীক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সাদেক খান বলেছেন,আপনারা কী বহুতল ভবন চান ? এক বাক্যে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা বাচতে চাই। বিশাল কিছু পরে কথা, এখন দোকান খোলতে না পারলে, ব্যবসা করতে না পারলে মরতে হবে, আত্নহত্যা ছাড়া কোনো পথ নাই।
সাদেক খান বলেন, এগারো লক্ষ রোহিঙ্গা পুর্ণবাসন করেছে আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনারা এই মাটির এই দেশের, আপনাদের কষ্ট আমার নেত্রী সইতে পারেন না বলেই এতো দুরে থেকে, আপনাদের পাশে। অনেক নেতা-নেত্রী দেখেছি, আগুন দেখলে হাসে। আমার নেত্রী আপনাদের চোখের পানির সাথে নিজের চোখের পানি একাকার করে নিয়েছে। তার চাওয়ার কিছু নাই, আপনাদের জন্য আমাদেরকে ঘুমাতে দেন না। একজন শিক্ষিত মা, একটি জাতিকে পরিবর্তন করতে পারে। একজন মানবিক শেখ হাসিনা বিশ্বকে মানবতা শিখাতে পারে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।