জনাব রবিউল আলমঃ
সাবাস বাংলাদেশ, ক্রিকেটের উন্মাদনা, করোনার ভয়,ডেঙ্গুর আতংকের চেয়েও পরিমনির সংবাদ বিস্তর বেশী হয়। পরিমনিকে নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে, হবে সেক্স,মাদক, মেধাবী, অসহায়তা, রূপের গুনের পক্ষে বিপক্ষে বলার শেষ কোথায়। আমার কাছে ব্যাক্তি পরিমনির চাইতে চিত্র নায়ীকা পরিমনির পরিচয় অনেক বড় বিষয়। দেশের জাতীয় সম্পদ মনে হয়। শরৎচন্দ্রের দেবদাস ১১ বার চিত্রায়ীত হলেও বাংলা সাহিত্যের, বাঙালি চরিত্রের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন করেছে কবরী বুলবুল আহম্মেদ। একজন নায়ীকা আবিস্কৃত না হওয়ার জন্য ফালগুনি হামিদে চিতা বহ্নিনমান স্বার্থ চিত্ররূপ দেওয়া যায় নাই। শাবানা, কবরী, ববিতাদের হারিয়ে চিত্রজগত মেধাশুন্যে,শাবনুর কিছুটা জোড়াতালি দিয়েছিলো। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে স্মৃতি নামের পরিমনি চলচ্চিত্র জগতের আশার আলো হয়ে দেখা দিলো। বাঙালি বধু, বাংলার মায়াভরা-মায়ামাখা চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে এই অপরূপ নারীকে বিশ্ব দরবারে হাজির করা যেতো। তা না করে এই অপরূপাকে রূপের ও নেশার জগতের সন্দান কারা দিলো ? সুচিত্রা সেন, মধুবালা, কবরী শাবানাদের অতিথের প্রেম কাহিনী নিয়ে প্রভাকাণ্ড নিয়েই রটনায় থাকতাম,তবে কী পার্বতীর মত চরিত্র আবিস্কার করা হতো। পরিমনিকে সংশোধন করার ও হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় নাই, আমি মনে করি। দুর্বলতার সুযোগ আমরা সবাই গ্রহন করেছি।পুলিশ তার রুমে নিয়ে গেছে, ক্লাবগুলো রাতে রঙিন হয়েছে পরিমনিদের কে নিয়ে। পুলিশ চাইলে এক ঘন্টায় বাংলাদেশকে অপরাধ মুক্ত করতে পারে। পুলিশের চোখ ফাকী দিয়ে অপরাধ জগত আবিস্কার হতে পারে না, অনেক বার আমাদের পুলিশ প্রমান করেছে। কিছু পুলিশ অপরাধ জগতে সম্পৃক্ততার জন্য, কিছু অপরাধ প্রিয় রাজনীতিবিদের জন্য, কিছু উচ্চ বিলাশ শিল্পপতি ও সরকারের ঘুষখোর আমলাদের জন্য পরিমনিরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলার মুখ, জাতীয় সম্পদ পরিমনিরা বেশ্যার ক্ষেতাবে মাদক সম্রাজি হয়েছেন। আমরা বানিয়েছি, কলংকৃত করেছি, করতাছি বাঙালি সংস্কৃতিকে। পুলিশের হাত খুলেদিন। পুলিশ তার সৎ ইচ্ছার পরিচয়দিন। মাদক ও নারী ব্যবসায়ীদের মুখোশ উম্মুচন করতে এক ঘন্টা সময় লাগবে। স্মৃতিরা পরিমনি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।