একটি জাতির মুক্তির সংগ্রাম একদিনে হয় না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় ও নাই। সততা, দৃঢ়তা, ব্যাক্তিত্ব, নেতৃত্বের গুনাবলিতে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলার জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। বঙ্গবন্ধু সেই কাজটি সুচারু ভাবে করেছিলে। গনমানুষকে সংগঠিত করার জন্য ছাত্রলীগ, পরে আওয়ামীলীগে সুসংগঠিত করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য ৭০ এর নির্বাচনে জনপ্রতিনিধির বৈধতা নিতে হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ছাড়া জনগণের পক্ষে কথা বলার বৈধতা নাই। মেজর অনেক দুরের কথা, একটি দেশের সেনাপ্রধানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া অধিকার নাই। মহামান্য আদালত ইতিমধ্যে পরিস্কার করে দিয়েছে। তার পরেও আওয়ামীলীগের নেতারা লাক্ষো মানুষের জনসমাবেশে জিয়ার নামটি উচ্চারণ করেন, ২৬-২৭ বিতর্ক, ধরে এনে পাঠক, পাকিস্তানের গুপ্তচর ইত্যাদি ইত্যাদি। বিএনপির পাতা ফাঁদে আওয়ামীলীগের এখানেই পরাজয় আমি মনে করি। বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারে না, কখনো প্রয়োজন ও হয় নাই। বন্দুকের নল আর ছলচাতুরীর ক্ষমতায় যে কদিন থাকা যায়। জনগণ ও দেশপ্রেমের অঙ্গিকার তো বিএনপি-জামাত করে নাই। জবাবদিহি করবেন, কার কাছে ? জিয়া হা-না ভোটে রাষ্ট্রপতি হতে পারলে, স্বাধীনতার ঘোষক বললে কি করার আছে ? ভাঙা ঢোল নিজে বাজানো আর অন্যের হাতের বাজানোর কিছু প্রার্থক্য হবেই।এখনো যেসমস্ত আওয়ামীলীগ নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক করেন, তাদের মনে রাখতে হবে, বিএনপির ডাকে হরতার অবরোধ হয় না, জনগণ কথা শুনেন না, জনসভায় সমাগমন উল্লেখ করার মতো নয়। আদালতের রায় পরিস্কার। আপনারা কেনো সেই অপদার্থ মানুষগুলো কে সামনে আনেন ? অসমাপ্ত
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।