খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ রাজবাড়ী-২ আসনের আগামীর কর্ণধার, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতি সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ইন্ধনে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তারা চেয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাই আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ পলাতকদের অচিরেই দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে এবং এদের দল-বিএনপি’র বিচার করতে হবে।
সোমবার ২১ আগস্ট ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর সকল চেষ্টাই করেছে জিয়া। তাদের রক্ষায় জিয়া ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিলো। জিয়া দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি জঘন্যতম এক অধ্যায়। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা। এমন একজন মানুষকে অমানুষদের হাতে স্বপরিবারে জীবন দিতে হলো। এধরনের জঘন্যতম ঘটনা বিশ্বের বুকে দ্বিতীয়টি আর ঘটেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, আর ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সকল নেতাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ভাগ্যক্রমে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে যান। তবে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীসহ বেশ ক’জন সাংবাদিক। আহত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে এখনও দুঃসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র চায় বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে।
নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে।