খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ছাত্র-জনতার চুড়ান্ত আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই আশ্রয় নিয়েছেন দেশটিতে। সম্প্রতি দুই দেশে পতাকা অবমাননাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক হলেও ভারতে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের বেফাঁস মন্তব্য বেড়ে চলেছে। এতে করে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেশী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভেদ বাড়ছে দুই দেশের জনগণের মধ্যে।
গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভারতের বিজেপি সমর্থকরা। এসময় তিনি বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ওষুধই পাবে না, ওষুধ না পেয়ে অর্ধেক লোক মরে যাবে।’
দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে উগ্রপন্থা বন্ধ হওয়া উচিত। যারা নেতা আছেন, ভাবা উচিত। বোঝা উচিত। ভারতের শক্তি আছে। চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানকে যদি নাকে খত দিতে পারে, ৯০ হাজার সৈন্যকে বন্দি করে আনতে পারে ভারতের সেনা।’
তিনি বলেন, আমরা ওদের (বাংলাদেশের) মত লোকেদের সঙ্গে লড়তে পারি না। সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই কখনও হয় না। হাওয়া দেওয়াটাই যথেষ্ট। আদৌ কোনও সামরিক বিভাগ আছে বাংলাদেশের? কোনওদিন বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছে ?। বাংলাদেশের লোকজন চুরি করে ভারতবর্ষে ঢুকে খায় বলে মন্তব্য করেন বিজেপির বর্ষিয়ান এই নেতা।