বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জেলা, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট সম্মেলন হাওয়া লেগে গেছে সর্বত্র। চায়ের কাপে ঝড় তুলছে এ নিয়ে আলোচনা। আগামী দিনের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে মাঠের নেতাদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন মাধ্যমে সংগঠনের জন্য ত্যাগী, মেধাবী, বিএনপি/জামাত, হাইব্রিড ও চাঁদাবাজ মুক্ত নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং পরীক্ষিত নেতাদের দায়িত্বে আনার দাবি উঠেছে তৃনমূল থেকে।সে ক্ষেত্রে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ডে আগামী সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ৩১ নং ওয়ার্ডবাসীর অহংকার, তরুণ প্রজন্মের মধ্যমণি, পেট্রল বোমা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজপথের প্রতিবাদী সৈনিক, গরীব-দুঃখী-মেহনতি জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু, চার জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, স্বচ্ছ রাজনীতির বাতিঘর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক তরুণ নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মোঃ মোকলেছুর রহমান খান (লিটন মাস্টার)।
তবে কে পাচ্ছেন দলের এই দ্বিতীয় সারির গুরুত্বপূর্ণ পদটি, তা কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি জানেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মোঃ মোকলেছুর রহমান খান (লিটন মাস্টার)অনেক ত্যাগ শিকার ও সফলতাও দেখিয়েছেন। ১৯৯০ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন এবং ২০০১ পরবর্তী সময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন। ঐ সসয়ে বেশ কয়েকবার নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০৭ সালে এক-এগারো সেনা শাসিত সরকারের সময়ে রাজপথে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এবং এলাকার সাধারন মানুষের নিকট থেকে জানা যায়, মোঃ মোকলেছুর রহমান খান (লিটন মাস্টার)রাজনীতি জীবনে একজন আদর্শ সংগঠক হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। সৎ, সাহসী ও মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবাই তাকে ভাল বাসে।
এসব ব্যাপারে মোঃ মোকলেছুর রহমান খান (লিটন মাস্টার)সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো নির্দেশনা পালনে অতীতেও তৎপর ছিলাম, বর্তমানেও আছি, আগামীতেও থাকবো ইনশাল্লাহ। তাই আমাকে যদি সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই আমি তা অত্যন্ত সততা, গুরুত্বতা ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে পালন করবো।
মোঃ মোকলেছুর রহমান লিটন মাস্টারের পিতা মোঃ মনছুর আহম্মেদ খান, মাতা আমেনা বেগম (চটক), জন্ম ১লা জানুয়ারী ১৯৬৮ইং, ভোটার আইডি নং ৩৭৩২৩৩৬৭৮৩, বর্তমান ঠিকানা ১৬/১৭, আজম রোড, ব্লক-ডি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, স্থায়ী ঠিকানা-খান বাড়ি, হোল্ডিং নং–৫৫, রোড-বাইনাবাড়ি সড়ক, মধ্যআলিপুর, জেলা+থানা+পোষ্ট-ফরিদপুর, পেশা ব্যবসা, বাংলাদেশ আওয়ালীগ সদস্য নং-৩৭৫৬৬৯৬, শিক্ষাগত যোগ্যতা-এস.এস.সি।
সাংগঠনিক পরিচয়:
সাবেক সদস্য- অম্বিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, ফরিদপুর (১৯৮৫), সাবেক সদস্য-শহর ফরিদপুর যুবলীগ (১৯৮৭), সহ-সভাপতি-নূর হোসেন সংসদ পরিষদ, সাবেক সহ-সভাপতি-৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ফরিদপুর শহর শাখা, সদস্য- নিউ মুসলিম ডেভেলপমেন্ট এর উপদেষ্টা মন্ডলী, সাধারণ সম্পাদক-আজম রোড ইউনিটে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতা, সম্মানিত সদস্য- ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মোহাম্মদপুর থানা, ঢাকা মহানগর উত্তর, সম্মানিত সদস্য- নবদ্বয় হাউজিং সোসাইটির বাড়ি মালিক সমিতির, সহ-সভাপতি-সাত মসজিদ আইডিয়াল ইনস্টিউট, সদস্য-চাঁন মিয়া হাউজিং সোসাইটি বাড়ির মালিক সমিতির, সাবেক সদস্য-মোহাম্মদপুর টাউন হল শহিদ পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদপুর সরকারি টাউন হল পাকা মার্কেট দোকান মালিক সমিতি, প্রতিষ্ঠাতা-লিটন মাস্টার টেইলার্স এন্ড ফেবিক্স।
পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ঃ
পিতা: মৃত মোঃ মনছুর আহম্মেদ খান, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং অম্বীকাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগর সদস্য ছিলেন,
মাতা: মৃত আমেনা বেগম (চটক), তিনি একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
মামা: আবু ইউনুস পাশা, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং সাবেক বাকশাল কেন্দ্রী কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাশা হিসাবে টাইটেল দিয়েছেন।
মোঃ মোকলেছুর রহমান লিটন মাস্টার এর রাজনৈতিক পরিচয়:
১লা জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে ফরিদপুর শহর আলিপুরে জন্মগ্রহণ করে। পিতা মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোঃ মনছুর আহম্মেদ খান এবং মাতার নাম মৃত আমেনা বেগম (চটক) যিনি ছিলেন একজন সহ মুক্তিযোদ্ধা। মামা মোঃ আবু ইউনুস পাশা যিনি বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দেয়া টাইটেল (পাশা) হিসাবে গণ্য হন। মোঃ মোকলেছুর রহমান লিটন মাস্টার ১০ জন ভাইবোনদের মধ্যে ৬ষ্ঠ তম। পড়াশুনা শুরু ফরিদপুর হাইস্কুলে এবং ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে। ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ রাজনীতি শুরু করে এবং ফরিদপুর অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ছাত্র লীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৭ ইং সালে ছাত্রলীগ থেকে ফরিদপুর শহর যুবলীগে অন্তর্গত হন। তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চলে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করার কারণে, অনেক গুলো মামলা হয়। সে কারণে তাকে জেলে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরে অম্বিকা হল ময়দানে বিশাল জনসভায়, জনসম্মুখে নাম ধরে বলেন আমার যুবলীগ কর্মী মোঃ মোখলেছুর রহমান লিটনকে ডিটেনশন থেকে ও সকল প্রকার মামলা হতে জাবিন এবং মুক্তি না দিলে আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। এরশাদ সরকার তখন লিটন মাস্টারকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
১৯৮৯ এর গণঅভূৎত্থানে লিটন মাস্টার নুর হোসেন সাহেবের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলো নুর হোসেন সংসদ কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
লিটন মাস্টার ফ্রিডম পার্টির কর্ণেল রশিদ ও ফারুককে ফরিদপুরে কোন মিটিং করতে দেয়নী, বরৎ তাদের মিটিং প্রতিহত করে এবং ফ্রিডকম পার্টির মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলে। তারা তখন লিটন মাস্টারকে গুলি করে, আল্লাহর রহমতে অল্পর জন্য বেঁচে যায়।
গণফোরামের ডাঃ কামালকেও ফরিদপুর আলীপুর মোড়ে তাহার মিটিং বন্ধ করে দেয় এবং ফরিদপুর থেকে বিতাড়িত করে। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অনেক জোরদার আন্দোলন ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত ছিলেন লিটন মাস্টার।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের ফরিদপুরে নেত্রীর জন্য ষ্টেজ তৈরী ও বাঁশ দিয়ে মোড়ে মোড়ে নৌকার প্রতীক তৈরী করে স্থাপনা করেছিলন তিনি। লিটন মাস্টার ফরিদপুর আলিপুর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ ১০ (দশ) বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১/১১ সময় ফরিদপুরে জামায়াতি ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উচ্ছেদ ও নির্বাচনী প্রচারে মুজাহিদের সাথে সংঘর্ষ করে এবং তাদেরকে বিতাড়িত করে যা একটি বড় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
২০০১ সালে বি.এন.পি ও জামায়াতের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে লিটন মাস্টার কে জেলে যেতে হয়। লিটন মাস্টার সব সময় আওয়ামী লীগের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিটন মাস্টার রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড এর পক্ষ হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকার প্রচার-প্রচারনা ও দলীয় মিছিল মিটিং এর জন্য খরচ করে এবং নৌকা ও নৌকার প্রার্থীর ছবি সম্মলিত মাফলার তৈরী করে হাজার কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেন, যাহা প্রচারের কাজে সারা দেশে সাড়া জাগিয়েছিলো। মাফলার বিতরণ করার কারণে, ঢাকা-১৩ আসনে মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এর প্রচার আরো অনেক বেড়ে গিয়েছিলো।
এছাড়াও লিটন মাস্টার তিন তিনবার ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মাননীয় এল.জি.আর.ডি. মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন সাবেহকে নির্বাচন প্রচারনীর জন্য এম.পির ছবি সম্বলিত মাফলার কর্মীদের মাঝে বিতরণ করে। লিটন মাস্টার সব সময় বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী হয়ে থাকতে চান।
২০১৪ সালে রাজধানী মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড বায়তুস সালাম মসজিদ এর সামনে হিজবুত তাহেরীর জঙ্গী সংগঠক মাইক দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বাজে কথা বলায় লিটন মাস্টার প্রতিবাদ জানান এবং তাদের সাথে বাক বিতন্ড জড়িয়ে পড়ে। লিটন মাস্টার নিজে ঐ জঙ্গীদের ধরে পুলিশের হাতে সপর্দ করে। এ ঘটনাটি বাংলাদেশের সব কয়টি চ্যানেলে লিটন মাস্টার সহ ঘটনা একযোগে প্রচার করে। এ ঘটনায় হিজবুত তাহেরীর জঙ্গী সংগঠক তাদেরকে গ্রেফতার করায় পুলিশের খাতায় লিটন মাস্টারের বন্ধুত্ব হিসাবে নাম রয়েছে। তাদের নামে ১টি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয় (মামলা নম্বরঃ ৪৩-১০-১৪)। লিটন মাস্টার দলের জন্য বিভিন্ন সময় বড় বড় নেতাদের সাথে পিকেটিং এ অংশগ্রহণ করেছিলো। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন, শেখ বজলুর রহমান, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম সহ প্রমুখ।
রাজধানী মোহাম্মদপুর থানা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে অনেক মুজিব ভক্ত আছে, তারা মুজিব কোট পরার ইচ্ছে থাকা শত্বেও আর্থিক সংকটের কারণে, মুজিব কোট তৈরী করে পরতে পারে না। লিটন মাস্টারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সেই সব মানুষ গুলিকে বিনা মূল্যে মুজিব কোট উপহার দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়া গরীব ছেলে মেয়েদের বিনা মূল্যে স্কুল-কলেজ ড্রেজ উপহার দিয়ে যাচ্ছে।
করোনার ভয়াল থাবায় আঘাতগ্রস্থ পুরো পৃথিবীর। এই মহামারী করোনা ছোবল বসিয়েছে বাংলাদেশেও। করোনায় স্থবির জনজীবন, কাজ হারিয়ে অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, খাবারের খোঁজে ছুটছে দিকবেদিক। এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা, ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি এবং ঢাকা-১৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এর নির্দেশে লিটন মাস্টার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে থেকে অদ্যবধি দুঃস্থ ও অসহায় গরিব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে।