সাদেক এ্যাগ্রোর ইমরান হোসেন ও শাহ ইমরান এখন কোথায় ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Friday, July 5, 2024
90 Time View
আমার নগর পিতা,জনগণের প্রতিনিধি প্রিয় আতিকুল ইসলাম কেনো রাজস্ব মওকুবের দায়ীত্ব নিবেন ? সরকারী জমিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে, নিজ খরচে ভেঙে নিতে হয়, সরকার ভাঙলে খরচ দিতে হয়। ২০ বছর সাদেক এ্যাগ্রো অবৈধ দখলদার ছিলেন, গরুর মল-মুত্র আবর্জনা দিয়ে রামচন্দ্র পুর খাল ভরাট করেছে, এই আবর্জনা জনগণের টাকা পরিস্কার হতে পারে না। বিনা অনুমতিতে জবাইখানা বানিয়ে হাজার হাজার গরু জবাই করেছে, ব্যবসার জন্য লাইসেন্সের তোয়াক্কা করেন নাই। হাজার হাজার কোটি টাকার কোরবানীর গরু বিক্রি করেছেন, সরকারের রাজস্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই। বুক ফুলিয়ে মিডিয়াতে বলেছেন, আমার কাছ থেকে গরু কিনলে সরকারের রাজস্ব দিতে হয় না। ইমরানকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছে ?
মাননীয় মেয়র, সাদেক এ্যাগ্রোকে রাজস্ব আত্মসাৎ, আবর্জনা মুক্ত করার খরচ, ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় ও বিনা অনুমতিতে পশুজবাইএর জন্য নোটিশ দেওয়া হউক, না হয় দায়মুক্তি জন্য দায় আসতে পারে। ৭১ টিভিতে খাল উদ্ধারই বড় সাজা বলেছেন। মিডিয়াতে আপনার ভাই এর ছেলেকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে।সাদেক এ্যাগ্রো দায় মুক্তি পেলে সারা বাংলাদেশের এ্যাগ্রোগুলো গরু বিক্রির রাজস্ব আত্মসাৎ করতে থাকবে, স্থানীয় সরকার হবে রাজস্ব বঞ্চিত। প্রানি সম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয় মাংস বিক্রি করতে আমার ৫৩ বছর ব্যবসায়ী জীবনে দেখি নাই, শুনিও নাই। সাদেক এ্যাগ্রোর বিনিময়ে দেখতে হলো। প্রথম মিটিংএ আমি উপস্থিত ছিলাম। সাভার, সিলেট, ফরিদপুর সরকারি ফার্মের গরু সাদেক এ্যাগ্রোকে দেওয়া হবে নামমাত্র নিলাম দেখিয়ে, সাথে কোটি কোটি টাকার ভর্তুকী। আমি বলেছিলাম সরকারী গরু ও সরকারী টাকা ভর্তুকী দিয়ে মাত্র ৩০ হাজার কেজি মাংস বিক্রি করে রমজানের চাহিদ পুরণ হবে না। ভর্তকীর প্রয়োজন নাই, ঢাকায় ২০ টি বাজারে ২০ দোকান দেওয়া হবে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি পক্ষ থেকে। আমার প্রস্তাব গ্রহন না করায়, মিটিং বৈকট করি। তখন কি জানতাম, সাদেক এ্যাগ্রোর সাথে অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গোপন আঁতাত আছে।মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম ব্রাহম গরু, সরকারী ফার্মের সবল গরু, বাছুর গরু ও রিজেট গরু সাদেক এ্যাগ্রো কে দেওয়া হবে। এ সব গরু আত্মসাৎ করে, আমদানি করা পঁচা মাংস পেকেট জাত করে সাদেক এ্যাগ্রো মাংস বিক্রি করেছে। বিক্রির জন্য সমকাল পত্রিকায় বিশাল রিপোর্ট করা হয়। আমি সেই মিটিং থেকে বের হয়ে, আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিষয় বস্তু প্রকাশ করি, ইমরান অগ্নিমূর্তির ধারণ করে। ফেসবুকে বিতর্কে এক পর্যায় আমি বলতে বাদ্র হই, আপনার সাথে দেখা হবে আদালতে। হয়তো দেখা হতে পারে, প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও সাদেক এ্যাগ্রোর গরু আত্মসাৎ এর মামলায় স্বাক্ষীর জন্য।
মাননীয় মেয়র আপনি নগর পিতা, রাজস্ব আদায় ও সেবার জন্য দায়ীত্ব নিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের সহায়তাকারী, ঢাকা উত্তর আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী আপনার পাশে ছিলো এবং আছে, জামাত শিবিরের ক্যাডার সাদেক এ্যাগ্রোর মালিক ইমরানের জন্য আপনার দিকে আঙুল উঠলে, আমাদের সয্য হবে না।দায় মুক্তির জন্য প্রতিটি অপরাধের জন্য একটি করে নোটিশ করা হউক। ইমরান এখন কোথায় ? শাহ মোহাম্মদ ইমরানকে আটক করলে, ইমরান হোসেনের সন্ধান পাওয়া যাবে, তার কাছ থেকে তথ্য নিতে হবে, কারা কালো টাকা সাদা করেছে, সাদেক এ্যাগ্রো থেকে বিনে পয়সায় গরু কোরবানী দিয়েছে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।