জনাব রবিউল আলমঃ যে ব্যাক্তি, যে দলিয় প্রধান, সরকার প্রধান ভাবতে চায়, তার ভাবনার শেষ কোথায় ? আমি -আমার সংসার নিয়ে সেই অপ্রাপ্ত বয়স থেকে ভাবছি, ভাই-বোন,বাবা-মা,দাদা-দাদী একটু সুখের আশায় কতনা কী করেছি। জীবনের শেষ সময় এসে উত্তর খুজার চেষ্টা করছি, হিসাব মিলাতে পারিনি।এখন ছেলে মেয়ে, জীবন সঙ্গিনী ও নাতি নিয়ে আছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান দেশ,জাতি নিয়ে ভাবনার জগতেই ছিলেন, একটি মানচিত্রের জন্য জাতির জনকের উপাধি ছাড়া কী পেয়েছেন ? আমার জানা নাই। তবে বাঙালী মনের অমরত্বের আসন থেকে কেউ বিচুক্ত করতে পারবেন না: বাংলাদেশ যতদিন থাকবে।শেখ হাসিনার ভাবনার জগত বহুবিস্তীর্ণ, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে জাতিকে রহ্মা করা, দলের মাঝে শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত করা, পরিকল্পিত নগর, শহর, দেশ, শিল্প, যোগাযোগ ও স্থাপনা গড়ে তুলা। এ সব কিছুর জন্য সৎ মানুষের প্রয়োজন, প্রয়োজন নিজের মনের মতো মানুষের। আমি বলবো এই একটি স্থানে শেখ হাসিনার ব্যর্থতা খোজতে পারেন, তবে হলফ করে বলতে পারি অভাব অপুরণীয় থাকবেনা। প্রকৃত মজিব সৈনিক বাছায়ী চলছে। ২০০৮ বাংলাদেশ, ২০২১ শের বাংলাদেশ আমরা কী দেখছি, একজন মানুষই তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুল আর সফলতার বিচার জনগণের। আলাউদ্দিনের যাদুর চেরাক নাই তার হাতে। গৃহহীন মানুষের গৃহ, মাদক, ক্যাসিনো,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাং কিশোর অপরাধীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, অবৈধ দখলদার মুক্ত করে নগর, শহর, জেলা উপজেলা সহ দেশকে জঙ্গাল মুক্ত করে জলজট, যানজট মুক্ত করা। জ্বালানী অভাব পুরনে বিদ্যু ও গ্যাসে সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সেতু ফোর ও সিক্স লেইন রাস্তা, শিল্প উন্নয়ন ও বহিঃবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও গভির সমুদ্র বন্দর।সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ শেখ হাসিনার ভাবনার বিষয়। মানুষ যত ভাবতে চায়, তাকে ততোটাই ভাবতে হয়, ভাবনার জগতের শেষ নাই। আমেরিকার উক্তি তলাবিহীন জাতি বাঙালীকে একটি তলার সন্ধান দাতা শেখ হাসিনা।মিসকিনের জাতি থেকে সম্মানের শির্ষে শেখ হাসিনার হাতধরে।বাঙালীর ভাষা দিবশ ২১ শে ফ্রেরুয়ারী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় রূপান্তরিত।চীন, ভারত, রাশিয়া আমেরিকা, এমন কী মধ্যপ্রার্চের অনেক দেশের কাছে হিংসনীয় আমাদের শেখ হাসিনা। দেশীয় ষড়যন্ত্রে ব্যর্থরা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশগ্রহণ করছেন কিছু বাঙালী, নবাবের সময় মির্জাফর ছিলো, জাতির জনকের সাথে মোস্তাক। শেখ হাসিনার পাশেও আছে, থাকবে ওরা চিরকাল। বিশ্বের সকল দেশ আমাদের বন্ধু হতে পারে না, বিশ্বের সকল মানুষ ভালো হতে পারবেন না। সব মানুষ কোরআনে হাফেজ হয়ে গেলে এই পৃথিবী একদিন, একমিনিট ও চলতে পারবেন না। শেখ হাসিনা সবার কাছে ভালো হতে চান না, চাইলে দুস্কৃতকারীদের শাসনের ভার নিজ হাতে তুলে নিতেন না।মিয়ানমায় কী হয়েছে, আল-জাজিরা কী বলেছ আমার দেশের উসকানি দাতাদের কাছে বড় বিষয় হতে পারে, জাতির কাছে নয়।জাতির কাছে বড় বিষয় কেমন বাংলাদেশ দেখেছেন, কেমন বাংলাদেশ দেখছেন ? ভাবনায় রাখতে হবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেতৃত্ব আমরা আবিস্কার করতে পেরেছি কীনা ? বিশ্ব ষড়যন্ত্রীরা দেশের চাইতে নেতৃত্ব কেরে নিতে পছন্দ করেন, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার চাইতে বড় প্রমান আমার কাছে নাই। হাজার কোটি টাকার মালিক ইরাকীরা এখন ফুটপাতে বসে খায়। মজিব হত্যাকারীদেরকেও ওরা রহ্মা করতে পারেনি, স্বার্থ ফুড়ালে ওরা কাউকে চেনেন না। কনক সারোয়ার, ইলিয়াস, খলিল, সামী আপনাদেরকে কী করা হবে জানিনা, বার্গম্যান তাদের-ই অংশ। আল-জাজিরা ইহুদীবাদের জনক,আরব আমিরাত, সোদী, ইয়মেন, জর্ডান,ভারতের ইজরায়েল নীতি নিয়ে কোনো কথা নাই। মিয়ানমার সামরিক সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সামরিক বাহিনী নিয়ে উসকানি সুযোগ হাত ছাড়া করেন নাই। একবারের জন্যও মনে করেন নাই ১১ লহ্ম রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতিত।বাংলাদেশ ছাড়া, শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।