সাহিদুল এনাম পল্লব:
ঝিনাইদহ জেলার একমাত্র শিশু পরিবার টি অবস্থিত ঝিনাইদাহ সদর উপজেলার পোড়া হাটি ইউনিয়নের মধু পুর বাজারে । দীর্ঘদিন যাবৎ এই শিশু পরিবারটিতে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি শিশু নির্যাতন ,শিশুর ওপর নিপীড়ন এর ঘটনা হতে চলেছে। সম্প্রতিকালে 10 বছরের একটি শিশু এইখান থেকে হারিয়ে যায়। এই ঘটনা প্রায় কুড়ি দিন মত গত হয়ে গেলেও গেলেও আজ অবধি হদিস মেলেনি হারিয়ে যাওয়া শিশুটি। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তারপরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এই শিশু পরিবারে শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়ে থাকে। এমনকি তাদের উপর মাঝেমাঝে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘাটে। শিশুদের উপর যে সমস্ত নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সে কথা শিশুরা কারো নিকট বলতে পারেনা যার কারণেই সেখানে নীরবে-নিভৃতে তাদের নির্যাতন সইতে হয় এমন ধরনের অভিযোগ রয়েছে শিশু পরিবারের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে কয়েকজন সাংবাদিক শিশু পরিবারের গেলে ঘটে আপত্তিকর ঘটনা। গেটের দারোয়ান গেট দিয়ে সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। এই সময় গেলে কর্তব্যরত দুইজন সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং বলে যে উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাদের বলেছে যে কোন ব্যক্তি সাংবাদিক হলেও এর দায়িত্বে থাকা সভাপতি জেলার সদর উপজেলার নির্বাহি অফিসা রের অনুমতি ব্যতীত কেউ ভিতরে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে যেতে পারবেনা। এই সময়ে গেট এ কর্তব্যরত দারোয়ান সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং গেট দিয়ে একজন সাংবাদিকের পায়ে আঘাত করে। গেট ম্যানের কথা শুনে সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে মোবাইল করলে সে বলে যে আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওইখানে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই আমার অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। সে আরো বলেন যে আপনারা আমার গেটম্যান কে কেন কলার ধরে অ্যাসল্ট করেছেন। তাকে বলা হয় যে আপনার গেটম্যান মিথ্যা কথা বলছে তারপরও সে বদ্ধপরিকর যে সাংবাদিকরা তার গেটম্যানের কলার ধরে অ্যাসাউল্ট করেছে। এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গেলে উপস্থিত 17 জন ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রায় ডজনখানেক সাংবাদিকের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন যে ওইখানে আপনারা সাংবাদিকরা কেন যাচ্ছেন ওইখানে কি এমন মধু আছে। যে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে উপস্থিত সকলের সামনে সেই সাংবাদিক দাবি করেন যে যদি তাদের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তার শাস্তি সাংবাদিক গ্রহণ করবে আর যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে এবং দারোয়ান মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিক দাবি করেন যে যেহেতু এখানে সিসি ক্যামেরা আছে সেহেতু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে কি ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। এসময় সাংবাদিক ধারণকৃত ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় উপস্থিত জনতার সাক্ষাৎকার থাকলেও উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাক্ষাৎকার দেখতে রাজি হয়নি। তখনো উপস্থিত সকলের সামনে উপজেলা নির্বাহি অফিসার উচ্চস্বরে বলেন যে বিনা অনুমতিতে ওখানে যাওয়ার রাইট সাংবাদিকদের নাই বলে তিনি জানান। এক পর্যায়ে উনি সাংবাদিকদের হুমকি দেন যে এটা নিয়ে যদি আপনারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তাহলে সরকারের উপর মহল আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।