নিজেকে তুমি দাবি করো মহাজগতের শ্রেষ্ঠ জীব,
জ্ঞানগরিমা সভ্যতা নিয়ে বড়াই করো লোক সমীপ।
তোমার স্বরূপ তুমি চেনো না চেনায় কোন জন?
তোমার সভ্যতার আড়ালে মরে হাজারো নিরীহ প্রাণ।
পুঁজিবাদী আগ্রাসী তুমি চুষে নিচ্ছো শ্রমিক-প্রাণ,
তাদের রক্তে ফুলে উঠে, মারছো তাদের বিষের-বাণ।
বানিয়েছো বিশাল অট্টালিকা এ নয় তোমার কৃতিত্ব,
তোমারই পাশে অভুক্ত নারী বিকিয়েছে তার সতীত্ব।
সুশ্রী ফ্ল্যাটে থাকো তুমি ভাই নির্বিঘ্নে কাটাও তিমির রাত,
ফুটপাতে ঘুমোয় তোমার জাতি, আসেনা তাদের আশ-প্রভাত।
সৌজন্য যশঃ নামের জন্য দাওয়াত করো সমশ্রেণিকে,
অভুক্ত কেউ চাইলে খাবার দূর হ বলে তাড়াও তাকে।
অজস্র টাকা ব্যয় করো তুমি আড্ডা-ফূর্তি উপভোগে,
পথে ভিক্ষুক চাইলে টাকা মারতে তাকে ইচ্ছে জাগে।
ঢালো অর্থ অপাত্রে তুমি গড়ে তুলো জড়বস্তু,
ভ্রুক্ষেপ করো না কখনো তুমি সংকটে যখন উদ্বাস্তু।
উবার, পাঠাও ও আমার রাইডে দামাদামির নাইকো লেশ,
রিকশাওয়ালাকে দশ টাকা দিতে দরকষাকষি জমাও বেশ।
অর্থবিত্তের দম্ভ নয় আর বিরাজ করুক মানবতা,
শ্রমিক ভাইয়েরা শোষিত না হোক প্রতিষ্ঠা পাক সমতা।
এ পৃথিবীর আলো-বাতাসে অধিকার পাক প্রতিটি প্রাণ,
খাদ্যশস্য সবার হোক বেজে উঠুক সাম্যের তান।
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।