জনাব রবিউল আলমঃ
রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের অযোগ্যতা বেশীদিন চলতে পারে না। বাংলার জনগণ চলতে দেয়নি। বৃটিশ, পাকিস্তান থেকে এরশাদ ও খালেদা বিরোধী আন্দোলন বাঙালির অস্তিত্বকে রক্ষা করেছে। পেটে ভাত, পড়নে কাপর, বাসস্থানের নিশ্চয়তা ও বহিঃবিশ্বে জাতির আত্নসম্মানকে উচ্চ তায় প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। বাঙালি জাতি ঘুমের মাধ্যমেও আল্লাহপাকের কাছে ফরিয়াদ করে, মাবুদ আর আমাদেরকে স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচার দেখাওনা। খালেদা, এরশাদের এমপিদের কাপর খোলা, বাড়ীঘরে আগুন দেওয়ার সাথে শ্রীলঙ্কার রাজাপাকশী সরকারের এমপিদের প্রার্থক্য দেখছি না। শত চেষ্টা করেও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে একটি স্বপ্ন পুরিতে পরিনত করেছেন, করোনার মহামারী, উন্নয়নের ছায়াবানী,জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো কার্পন্য করেন নাই। প্রধান মন্ত্রীর উদারতার সুযোগে প্রশাসনের কর্তা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীদের আত্নীয় স্বজন, চেয়ারম্যান মেম্বার, কাউন্সলরদের কিছু স্বেচ্ছাচারী হয় নাই, দুর্নীতি বারে নাই, আমি তা বলছি না। ঘরে টাকা না থাকলে চোরেরা চুরি করলো কীভাবে ? বিএনপির কথা শোনে না, জামাতকে বিশ্বাস করে না, জাতীয় পার্টি অস্তিত্বহীন। খুচরা বামদের কাম নাই বলে কি, জনগণের বোধ নাই ? বাঙালি কালোকে কালো বলতে পারে, শেখ হাসিনার আশ্রয় থেকেও দুর্নীতিবাজদের বের করে নিতে জানে। আপনাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বাঙালি জাতি তেল নুনের রাজনীতি বুজে, বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো যায় না, তারা নিজেরাই সচেতন। শেখ হাসিনার সরকারে ক্যাসিনো, মাদক, প্রতারকদের অবস্থান বেশীদিন হয় না। নতুন নতুন জেলখানা দেখেওকি মনে করতে পারছেন না ? শেখ হাসিনা আছে বলেই জনগণ আপনাদের কাপর খুলছে না। কিন্তু জেলখানাও মাপ হচ্ছে না। জাতির জনকের উক্তি চোরের ক্ষনিকে শেখ হাসিনা, স্বর্ণের ক্ষনি বানাতে পারবেন না। তবে একটা একটা করে চিহ্নিত করতেও ছাড়বেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।