জনাব রবিউল আলমঃ স্টার জলসার এই মুহুর্তে জনপ্রিয় সিরিয়াল শ্রীময়ী। নাটক, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন আসে লহ্মনিয়। হুমায়ুন আহমেদের কোথাও কেউ নেই বাকের ভাই হ্ম্যাত নাটক আমাদের দেশে বিহ্মোবে রূপ নিয়েছিল। ভারতীয় সিরিয়াল গুলো কী পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করছে নারী সমাজে, অনেকাংশে পুরুষ কেও কোনো না কোনো কারনে দেখতে হচ্ছে আমার মত করে। শ্রীময়ী প্রতিশোধের একটি ব্যাতিক্রম ধারী সৃষ্টি করেছেন ত্যাগের মাধ্যমে, ত্যাগ সমাজকে পরিবর্তন ঘটায় এই বিষয় আমরা সবাই কিছু না কিছু অবগত, নিজে পালন করতেই যত বাধা। অন্যের ত্যাগকে আমরা উপভোগে অবস্তু। নিজের বেলায় প্রতিবন্দকতা।ভারতীয় নাটক দেখে পরকীয়, বৌ শাশুড়ীর ঝগড়া, এমনকি তালাকের সংখ্যা বেড়েছে আমাদের সমাজে। তার পরেও ভারতীয় সিরিয়াল দেখার হিরিক কমাতে পারিনি, পারেন নাই আমাদের মিডিয়া ও সংস্কৃতি জগতের রথীমহারথীরা। শ্রীময়ীর তার প্রতিপহ্ম জুনগুহের স্বাদের অনুষ্ঠানে নিজ হাতে খাইয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখে নিজের ঘরেই প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি একজন করে শ্রীময়ী থাকতো, তা হলে সংসারে, সমাজে ঝগড়া ঝাটি কম হতো। এক মুহুর্ত দেরী না করেই প্রতি উত্তরে নিজের ঘরের মানুষটা আমাকে অনিন্দ্য সেন হতে অফার দিয়ে দিলো। মনে মনে ভাবছিলাম আর ১০ বছর আগে এই অফার পাইলে কী হতে পারতো ? প্রকৃত কী বাংলার নারীরা একজন অনিন্দ্য সেন আশা করে শ্রীময়ী হওয়ার জন্যে ? নাকি জুনগুহ হতে চায় অন্দ্রসুখ সাছন্দের জন্য ? আমার কেনো জানি মনে হয় সংস্কৃতি আগ্রশনে বাঙালী নারী সমাজের পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রাস করে নিয়েছে। সবাই শ্রীময়ী দেখতে চায়, শ্রীময়ী হতে চায় না। পরিস্কার ভাবে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শ্রীময়ী হতে একজন রহিত সেনের প্রয়োজন আছে, তুমি কী অনিন্দ্য সেনের মত হতে পারবে ? আমি কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দিইনি, দিতে পারনি। সত্যিই বলেছেন আমাদের মাঝে অনিন্দ্য, রহিত না থাকলে শ্রীময়ী আসবে কোত্থেকে। জুনগুহদের অস্তিত্ব অস্বীকার করবোই কীভাবে। কীভাবে ভারতীয় সংস্কৃতি আগ্রাশন বন্ধ করবো। আমাদের হুমায়ুন আহমেদ, জহির রায়হান, খান আতা, মনির চৌধুরী, শহিদুল্লাহ কায়সারা নাই। নাই আমাদের স্বাধীনতা চেতনার দেশপ্রেম, নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিশ্রোদ্ধাবোদ। আমাদের তরুন প্রজন্মের নাট্রোকারা একেবারে রাখার লেখে বলা যাবে না। মিডিয়ার বিজ্ঞাপন আগ্রাশনের জাতাকলে সকল অর্জন বিষর্জন দিতে হচ্ছে। ভারতজুড়ে বাঙালী ইউটিবে বাংলাদেশের নাটক অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমার দেশের ভিতরে সেই স্থানটা ধরে রাখতে পারছিনা। কিছু কিছু মিডিয়া বিদেশি সিরিয়াল আমদানি করে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। কিছুটা সফলও হয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে। হারিয়ে ফেলছি রবিন্দ্রনাথ, নজরুল,হুমায়ুন,শরৎচন্দ্র , লালন, শাহ আব্দুল করিমদের কে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।