মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের্ আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ আগস্ট ২০২১ রোজ রবিবার মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ডে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান মিয়া চান এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল সিদ্দিক তুহিন।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্বে করেন ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের্ সভাপতি হাজী সলিমুল্লাহ সলু এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ১৫ আগস্টে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন। আমি এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হন। একই সাথে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ আরো অনেকে। এ নৃশংস হত্যাকা-পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। কিন্তু ৭৫ এ জিয়া-মোস্তাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল আবারও পাকিস্তানের। তা আর সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এগিয়ে গেছে। শোককে শক্তিতে পরিনত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষকে পিছনে তাকাতে দেয়নি। সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়ন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবে রুপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য।