স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত দাবিকারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাসান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, জিএম কাদের স্ত্রী শেরিফা কাদের, সুজন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুল রহমান ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, তারেক খালদুন বিন আরিফ, তাজরিন হোসেন, ইঞ্জি. রবিউল আলম, হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে হাবু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাইদুর রহমান বাবুল, আবু বকর, মমিন, শাহজালাল, আবুল কালাম আজাদ, আকবর হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. আফজাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।