জনাব রবিউল আলমঃ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তলাবিহীন ঝুড়ি, বিহ্মার থলি, মেরুদণ্ড হীন পররাষ্ট্র নীতি, খাদ্য অভাবে, দুর্ভিহ্ম নিয়েই বিশ্বের দয়ার উপর নির্ভর একটি দেশ ও বাঙালী জাতির আবির্ভাব ঘটে ছিলো ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রমে লহ্ম অর্জনের পথে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট অন্ধকারে নিমজ্জিত করে হ্মমতা লোভী কিছু অপশক্তি সৈনিক।
আত্নমর্যাদাহীণ হ্মমতা জাতিকে কতটা বেদনা দিয়েছে, এ সম্পর্কে আলোচনার প্রয়োজন মনে করি না। আলোচনার বিষয় শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র নীতি, উন্নয়ন, অর্থনীতি রাজনীতি জাতি গঠনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছ থেকে কতটা সম্মান অর্জন করতে পেরেছে বাঙালী জাতির জন্য। স্বাধীনতার অকৃত্রিম বন্ধু রাশিয়াকে ফিরিয়ে এনেছেন, চীনের মত উন্নয়ন সহযোগীকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরিবর্তন করতে স্বহ্মম হচ্ছেন, ভারতের সাথে সম্মান জনক নাগরিক তালিকা ও জল বন্টনের ইস্যু সীমান্ত নিয়ে সমস্যার সমাধান, শান্তি প্রিয় অবস্থান সৃষ্টি করার বাস্তবতার জন্য বিশ্ব বিনিয়োগ এখন বাংলাদেশ।
মিয়ারমার বিনিয়োগ শ্রমিক সংকটে এখন বাংলাদেশের মিরসরাইয়ে, জ্বালানী, যোগাযোগ, বন্দর, শ্রমিক, নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বকে আলোকিত করেছে। বিনিয়োগের হিরিক পরেছে, ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনা থেকে শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। প্রশিহ্মনের জন্য ভাসানচর মানব উন্নয়নের ইতিহাস রচনা করবেন শেখ হাসিনা।
অংসান সুচি ও মায়ারমা এমনকি ভারতের মোদী সরকারের মৌলবাদ নীতি মানব ও শান্তি অর্জনে ব্যার্থ হওয়াতে অর্থনীতি অর্জনেও ব্যার্থ। পাকিস্তান আজ তলানিতে। চীন বাংলাদেশকে পাশে পেয়ে হাত ছাড়া করতে চাইবে না। বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলো আজ বাংলাদেশের সম্পর্ক চাই। ভারত ভ্যাকসিন দিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায়।
চীন হাজার হাজার পন্যের শুল্কমুক্তি সুবিধা নিয়ে ঘুরছে শেখ হাসিনার যোগ্য রাষ্ট্রনীতির জন্যে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর এর চেয়ে বড় উপহার জাতির জন্য আর কী হতে পারে ? কুচক্রী মহল কী চক্রান্ত থেকে থেমে আছে ? দেশকে অশান্ত করার জন্য ভাস্কর্য ইস্যু, রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে ভাসানচরে প্রতিবন্দকতা, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশে সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন ও প্রকাশ্যে আলোচনা, নির্বাচনে ভোট না পাইলে জ্বালাও পোড়াও দেশের জন্য কতটুকু সম্মান জনক ? এতটুকু জ্ঞান না থাকার রাজনীতি দিয়ে কী অর্জন করতে চান, কী করতে চান দেশ ও জাতির জন্য ? জাতি পরিস্কার হতে পারছে না বলেই ভোট নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই আমি মনে করি।
খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা নিয়ে হ্মমতায় বসিয়ে দিলে কী এতগুলো পরাশক্তিকে মোকাবেলা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্মান রহ্মা করার হ্মমতা রাখেন ? এতগুলো চোর আমলা কামলা আন্তর্জাতিক চিটার বাটপার, ভালোমন্দ বাছাই করার হ্মমতা রাখেন ? মেজর অব আক্তারুজ্জামানে ভাষায় বলতে চাই বিএনপির চাইতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্র শাসন এই মুহুর্তে মঙ্গল জনক। দল মত নির্ভিশেষে আসুন আমরা সবাই এই বিচহ্মনতাকে সম্মানের সাথে গ্রহন করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা বিচহ্মনতা, অহিংস নীতিকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতিকে উন্নত দেশে উপহার দিতে সহায়ক শক্তি হই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।