নৌকা বাঁচাতে, মজিব আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আদর্শের রাজনীতি থেকে অবসর নিতে পারছি না। বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলেও বিশ্বকে যুদ্ধে নিরুৎসাহিত করার জন্য মরিয়া শেখ হাসিনা। বিশ্বের একাধিক সরকার শেখ হাসিনা কে ফলো করে,কিছু মোড়ল রাষ্ট্রের বাকা চোখ। শেখ হাসিনা থাকলে তাদের যুদ্ধের ব্যবসা থাকবে না। ইসরায়েল নামে রাষ্ট্র রাখা যাবে না। আমেরিকার স্বার্থ বাঁচাতে ডঃ ইউনুসের মতো ইউনুসরা আওয়ামীলীগের ভিতরে অবস্থান করছে,তার হিসেব করা যাবে না। নমুনা আবিস্কার করার হয়েছে তাঁদেরকে বুঝতে দিচ্ছেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই এক আজব রাজনীতির খেলা, সময়মতো তাদেরকে শিক্ষা দিতে ভুল করেন না। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান সাবেক এমপি বলেন, সঠিক রাজনীতির জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের রাজনীতির সাথে, শেখ হাসিনার রাজনীতির কিছুটা প্রার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ভালোবেসে বুকে নিলে, সব ভুলে বিশ্বাসের বুনিয়াদ সৃষ্টি করতেন। সেই সুযোগ টা নিতে পেরেছিলেন খন্দকার মোস্তাকরা, আত্মীয়স্বজনের মাঝেও বিশ্বাসঘাতক আছে, শেখ মজিব দেখতে না পেলেও শেখ হাসিনার দৃষ্টি এরাতে পারেনি। সেই বিশ্বাসঘাতকদের কাছ থেকে অনেক বিষয় শিখতে হয়েছে। তবে কাকে বিশ্বাস করবেন ? অঙ্কুরের অধিকাংশ আসন যে ফাঁকা। আত্মীয়স্বজনের মাঝেও বিশ্বাসঘাতক আবিস্কার করতে শেখ হাসিনা ভুল করেনি। দলের বিশ্বাসঘাতক চিহ্নিত, ব্যবস্থাগ্রহনে সময়ের অপেক্ষা। কিছু আদর্শবান নেতাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে কমিটি রদবদলের প্রয়োজন। রাজনীতির জন্য শটকাট বলে কোনো শব্দ নাই। ১৯ ঘন্টা শ্রম দিয়ে আজকের শেখ হাসিনা। যার কর্মদক্ষতার জন্য বাংলাদেশের জনগণ বিকল্প খোঁজে না। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এখন আওয়ামীলীগে যায়গা দেওয়া যায় না। রাজনীতিতে ত্যাগের চেয়ে ভোগে ও পেশাদার বেশী হওয়াতে শেখ হাসিনাকে ধারন করতে পারছেন না, তাঁদেরকে দিয়ে অনেক কিছু হতে পারে, রাজনীতি হবে না। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সভা দেখে অনেক কথা লিখতে ইচ্ছে করে, চিক্কার করে বলতে চাই, দলের অনেক শক্তি নাকি পেশীশক্তি ? বলতে পারছি না। ঢাকঢোল পিটিয়ে ইউনিট আওয়ামীলীগ গঠন করা হয়েছিলো, লক্ষ টাকা ব্যয় করে, সম্মেলনের মাধ্যমে। মহানগর থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হয় নাই। টাকা কীভাবে যোগার হয়েছে, তার হিসেব নেওয়া হয় নাই। ওয়ার্ড কমিটিকে ওএসডি করে রাখে ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের কি অর্জন হয়েছে ? এই বিতর্কের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আছে। প্রতিটি সভায় ইউনিট আওয়ামীলীগকে অন্তভূক্ত করা হলো। সভা-সমাবেশের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকায়, যেই লাউ সেই কদু। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ওএসডি প্রত্যাহার হলেও কমিটি বানিজ্যের জের কাটানো যাচ্ছে না।কমিটি দিতে পারছে না।
অতিবিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক , নীতির পহরী অধ্যক্ষের নীতি দিয়ে ইউনিট আওয়ামীলীগকে চালানো যাবে না।অর্থের প্রয়োজন নীতি দিয়ে পুরণ করা যায় না। বঙ্গবন্ধু ওয়ার্ড কে থানার মর্যাদা দিয়েছিলেন,অর্থের অভাবে। নীতি আদর্শের রাজনীতির জন্য অনেকগুলো কমিটির প্রয়োজন হয় না। কমিটি বেশী হলে নেতা বেশী হতে পারে, আদর্শ থাকতে পারে না, শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায় না। নব্ব নাবালক সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিগ্রি ছাড়া অধ্যক্ষকে আমরা বুঝাইতে পারিনি। মহানগরের এলোমেলো রাজনীতি যদি আপনাদেরকে বুঝাইতে পারে। শেখ হাসিনার বিকল্প বাঙালি জাতি আবিস্কার করতে পারেনি, বিশ্ব রাজনীতিতে আবিস্কার হবে না। আদর্শ থাকলে উদ্দেশ্যের রাজনীতির রাখার প্রয়োজন নাই, কমিটি বেশী ও বড় করার দরকার নাই। অতি সন্যাসিতে গাঁজা নষ্ট। অতি নেতার জন্য শৃঙ্খলা বিনষ্ট। তিনজন শেখ হাসিনা আবিস্কার হলে বাংলাদেশ বিক্রি করতে অসুবিধা হতো না। একক নেতৃত্বের জন্য আজকের বাংলাদেশ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।