খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আজকের গল্প, শোকের মাস আগস্ট। স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হারিয়ে,পথো হারা, দিশে হারা আওয়ামী লীগের কান্ডারী হয়েছিলেন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন, সাজেদা চৌধুরীর মতন কিছু সংখ্যক নেতা, উল্লেখ করার মতো ভুমিকা পালন করেছিলেন ইয়াহিয়া চৌধুরী পিন্টু, মাহামুদা চৌধুরী।
ঢাকাকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে নিউ মার্কেটের দোকান থেকে অনেকে সময় টাকা এনেছে। দুই ভাই বোনের আত্ন ও অর্থত্যাগের ইতিহাস কী অন্ধকারে থাকবে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়ীত্ব নেওয়ার পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ ওয়ার্ডের কর্মসুচি সফল করার লক্ষ্যে ১০০ টাকা দেওয়া হতো, প্রতিবেশী দলের হিতাকাঙ্ক্ষীরা কিছুটা সহায়তা করতেন। পায় হেটে মিছিল নিয়ে গুলিস্তান। আসার জন্য কর্মীদেরকে ৫ টাকা করে দিতে পারলে খুশী হতো। ৮০ থেকে ৯০ দুইশত টাকা দেওয়া হতো নগর থেকে, থানা ছিলো না। কর্মীদের জন্য নির্ধারন ছিলো ১০ টাকা। মেয়র হানিফ মায়া কমিটির কাছ থেকে ৫০০ টাকা পেতেন ওয়ার্ড। হিতাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা তখনো কমেনি। এমপি মন্ত্রী না থাকলেও আওয়ামী লীগ ছিলো দুর্বার গতিতে। রাজনীতির একটা প্রানচাঞ্চল ছিলো, শেখ হাসিনার দিকে তাকালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি প্রতিটি নেতা কর্মিকে উজ্জীবিত করতো।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ক্ষমতা, মেয়র হানিফ কে হারিয়ে ঢাকার রাজনৈতিক জৌলুশ হারিয়েছে, মায়া চৌধুরী বিহীন ঢাকা সাংগঠনিক শক্তি হারিয়েছে। কিছুটা হলেও আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি ও রহমতুল্লাহ কমিটি ঢাকাকে অক্সিজেন দিতে পেরেছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এর কমিটি কে পুর্ণাঙ্গ রূপদান তাদের হাতে। এখনো চলছে সেই কমিটি। দক্ষিণ চলছে শেখ হাসিনার দেওয়া দুইজনের কমিটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনের পরে মহানগর কমিটি গঠনের দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। ইউনিট আওয়ামী লীগ গঠন হলেও ওয়ার্ড থানা চলছে সাবেক দিয়ে। বড় কোনো কর্মসুচির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অর্থ ছাড়া নগর কমিটির থেকে ওয়ার্ড ও থানার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ হয় না। ইউনিট আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড নির্দেশনা পালনের বাদ্যবাদকতা মাঝে নেই। নগর কমিটি সরাসরি ইউনিটকে আমন্ত্রণ করার জন্য, অনেক ওয়ার্ড নেতা ৪০-৫০ বছরেও নগরে একটি বক্তব্য দিতে না পারলও ইউনিটকে নগর প্রাণ মনে করে। অথচ ওয়ার্ড, থানা, ইউনিট আওয়ামী লীগকে নিয়ে না আসলে কোনো কর্মসুচিতে ইউনিট হাজির হতে পারে না। ইতিমধ্যে ইউনিট শৃঙ্খলা হারিয়ে ফেলেছে, যেটুকু আছে, তাও হারিয়ে যাবে। থানা ও ওয়ার্ড কমিটির বৈধতা দিতে না পারলে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর দের কে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মানাতে না পারলে। মেয়র সাহেব’রা নগরের সাথে সংযুক্ত না থাকলে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ কী এই ভাবেই চলবে ?