মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলার রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল’ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর)বাদএশা রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্বে করেন, ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দিল মোহাম্মদ দিলু এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মাঝি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ফরাজী, সহ-সভাপতি রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সদস্য মোঃ ফজলুল কাদের ইকবাল, ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অন্তর্ভুক্ত ৯ নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শফিউল আলম মানিক, ১০ নং ইউনিট আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, ৬ নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সাত্তার, ৪ নং সলিমুল্লাহ রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিলকিস আক্তার ববি সহ ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
আলোচনা বক্তরা বলেন, শিশু রাসেলের হৃদয়জুড়ে ছিল মানুষের জন্য ভালোবাসা। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করা। দেশের প্রেসিডেন্টের সন্তান হয়েও একদম সাদামাটা জীবন ছিল শেখ রাসেলের।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পাননি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। সে সময়ে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণেই ১১ বছরের শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। আজকে দেশের মানুষ অকপটে স্বীকার করেছে তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে পরম আদরের নাম। অবহেলিত, পশ্চাত্পদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে।মানবিক চেতনাসম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। নেতৃবৃন্দ সেই সকল দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেখ রাসেলসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে কেক কাটা হয়।