মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২০ রোজ সোমবার ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি রবিউল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ৩৪ নং ওয়ার্ড ও ইউনিট যুবলীগের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ’সহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে জননেতা রবিউল আলম বলেন যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নস্বাত করার নিমিত্তে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। অতঃপর সামরিক শাসন জারী করে করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুন্ঠিত করে।
১৫ আগস্ট সেই বিভিষিকাময় রাতে বঙ্গবন্ধুর ১০ বছরের শিশুপুত্র, নিষ্পাপ-নিরপরাধ, আদরের শেখ রাসেলকে ও হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে নাই। তাই সেরাতে শেখ রাসেলের আত্ম-চিৎকারে পাশানের হৃদয়ে কোনরূপ মমতার সৃষ্টি করেনি। তারা নির্মম-নৃশংসভাবে শেখ রাসেলকে হত্যা করে। আজ আমাদের প্রিয় ভাই শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে ৫৭ বছরে পদার্পণ করত। আজ শেখ রাসেল-এর ৫৭ তম শুভ জন্মদিনে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। মহান আল্লাহ্ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন। ৭৫ এর পালা বদলের কারণেই শিশু রাসেলকে জীবন দিতে হয়েছে, ৭৫ এর এই হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যারা জড়িত তাদের প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানাই এবং অবশিষ্ট খুঁনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। খুঁনিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে দেশকে কলংকমুক্ত করতে হবে।
৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকান্ড ও বিভিষিকাময় ১৫ আগস্টের স্মৃতি চারণ করেন। শিশু শেখ রাসেলকে হত্যার জন্য তিনি জিয়াউর রহমানকে আসামী করে মরনোত্তর বিচার দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাঙ্গালী তাকে ঘিরে একটি নতুন স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করতে পারত, যুব সমাজের নেতৃত্ব দিতে পারত সর্বপরি জাতি গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারত। আজ আমরা যা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মধ্যে খুঁজি। আমরা আর তাকে আমাদের মাঝে ফিরে পাবনা। আমরা এদেশের লক্ষ লক্ষ শিশু কিশোরের মাঝে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা তার রুহের শান্তি কামনা করি। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং শহীদের মর্যাদা নসিব করুন।
অতঃপর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। চলমান করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণকারীদের শহীদের মর্জাদা দান ও আক্রান্তদের আরোগ্য দানের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।