মোঃ ইব্রাহিম হোসেন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগ।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ কৃষক লীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাকসুদুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক কর্মী বান্ধব নেতা মোঃ হালিম খান এর নেতৃত্বে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক সেই সময় বাঙালির মেধা ও বিবেক হিসেবে খ্যাত বুদ্ধিজীবীদের, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে হত্যা করেছিল। সেদিন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী যেভাবে পরাজিত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, বাঙালির কাছে। তাদের আন্তর্জাতিক যে প্রভু রয়েছে তারাও সেদিন পরাজিত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও একাত্তরের পরাজিত শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এখনও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে এই বাঙালি জাতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষক-রত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পিতভাবে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
রাতের অন্ধকারে বাসা কিংবা কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে তারা শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে।
সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।