মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ জনাব নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেছেন, শহীদ নূর হোসেন ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় নূর হোসেনের আত্মত্যাগ আন্দোলন সংগ্রামে নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে জনাব নুরে আলম সিদ্দিকী হক ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিতে শহীদ যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন, নুরুল হুদা বাবুলসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাদের এই অবদান ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
ওই দিনের স্মৃতিচারণ করে জনাব নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, ‘১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে আসার পর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বৈরশাসকের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সারাদেশে ছিল অবরোধের কর্মসূচি। স্বৈরাচার পতনের কর্মসূচি। অবরোধের অংশ হিসেবে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বুকে পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক শ্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী, তিন দলীয় জোটের নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি পৌঁছামাত্র দৌড়ে এসে নূর হোসেন নেত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করে তার দোয়া নিয়েছিলেন। সেখান থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নূর হোসেন শহীদ হন। উপস্থিত সবার ধারণা শেখ হাসিনার প্রাণনাশের জন্য তার গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেই গুলিতেই নুর হোসেন শহীদ হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদের জন্য রওনা হলে তার গাড়ি ক্রেন দিয়ে টেনে তুলে ফেলা হয়েছিল।’
জনাব নুরে আলম সিদ্দিকী হক আরো বলেন, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।