নূর হোসেনের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারের পতন হলেও তার স্বপ্নের গণতন্ত্র এখনও অধরা। এখন দেশে হানাহানি, সন্ত্রাস। গণতন্ত্র পরিপূর্ণ মুক্তি পায় নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, কোন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন? নির্বাচনী গণতন্ত্র নাকি জনগণের ক্ষমতায়নের গণতন্ত্র? অবাধে জনগণকে বঞ্চিত করে যাওয়ার লুটেরা গণতন্ত্র আজকে এই প্রশ্ন সকলের মনে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণতন্ত্র বলতে বুঝায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকাসহ দেশ ও ব্যক্তির যে কোন বিষয়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার, সংখ্যা গরিষ্ঠের মত এখানে প্রতিষ্ঠা পাবে। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের দাবী উত্থাপন করতে পারবে এবং ন্যায্য দাবীই প্রতিষ্ঠা পাবে। এক কথায় গণতন্ত্র এমন একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে আপামর জনগনই নির্ধারণ করবে তাদের ভবিষ্যত।
তারা বলেন, স্বৈরাচারী বা একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণের কোন অধিকার বা ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়না। তাই সাধারণ মানুষ বার বার যে কোন ধরনের স্বৈরাচারী শাসনকে প্রত্যাখান করেছে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে তাদের রায় দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, শহীদ নূর হোসেনকে মহান করে অনেক গল্প, কিংবদন্তি, কবিতা ও বক্তৃতা হয়েছে। যতবার নূর হোসেনের নাম উচ্চারিত হয়, ছবিটি ছাপা হয়, ততবারই প্রশ্ন যাগে কোন গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তার স্বপ্নের গণতন্ত্র কি বাস্তবায়িত হয়েছে? এত আত্মদান এত শহীদান কেন বৃথা গেল? কারা দায়ী এর জন্য? নূর হোসেনকে নিয়ে লেখা কবিতায়, কলামে বা বক্তৃতায় এর কোন উত্তর নেই।
কর্মসূচী :
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ১০ নভেম্বর সকাল ৮.৩০ মিনিটে শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।