জনাব রবিউল আলমঃ আমরা সবাই জানি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছিলো পাকিস্তানীদের অস্ত্র জাহাজ খালাসের মাধ্যমে, মনটা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিলো বাঙালির ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম ও পাকিস্তানের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। খালেদা খানম পুতুল, খালেদা জিয়া কীভাবে হয়েছিলেন ? তার কোনো ব্যাখ্যা করেন নাই তারেক রহমান। তারেক রহমানের জানার কথাও না, ৬৭ থেকে ৭৪। ৯১ সংসদে সতন্ত্র সংসদ সদস্য মেজর হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছিলেন। আমি একজন সাবেক প্রধান মন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে ব্যাক্তিগত আলোচনা করতে চাইনা। তারেক রহমানের মতো এতোটা নিচেও নামতে পারবোনা। বলতে পারবোনা তার বাবা ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি, মা কেনো অন্যের অধিনে ছিলো, কেনো তার বাবার লাশ কেনো সার্কিট হাউজে পরে থাকলো ? সঙ্গি সাথিরা পালিয়ে আসলো? আজও কেনো জিয়া হত্যার মামলা হলো না ? হাজারো প্রশ্ন জাতির মনে, উত্তর খুজে পাওয়া যাবে না। উত্তর খুজার চেষ্টা করছি জিয়ার স্বাধীনতার পদক হ্মেতাব নিয়ে।রিজভীর বক্তব্য এই সরকার হ্মেতাবদেন নাই, হ্মেতাব কেরে নেওয়া যায় না, যুদ্ধ করেই হ্মেতাব অর্জন করেছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি কথার শেষ নাই। হ্মেতাব স্বীকৃতি পুরুস্কার যাই বলিনা কেনো, ভালো কাজের জন্য দেওয়া হয়, মিকাইল ( আঃ ) এর সকল অর্জনকে আল্লাপাক কেরে নিয়ে সয়তানের হ্মেতাব দিয়েছেন। অংসান সু চির হ্মেতাব পুরুস্কার স্বীকৃতি কেরে নেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে। জিয়ার বীরউত্তম বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য তাকে কেনো কাপুরুষ উত্তম দেওয়া হবে না ? কবি সাহিত্যক, বুদ্ধিজীবী, বিচারপতিদের কে কী ফাসীর সাজা নিষিদ্ধ ? জিয়া হত্যার বিচার হবে না, জিয়ার অপরাধের বিচার করা যাবেনা কেনো ? তারেক রহমানের বাবা হওয়ার জন্য। নাকি বেগম জিয়ার স্বামী হওয়াতে। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে জিয়াকে আজ কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।রিজভীর দেখানো পথে জনগণ সবই কেরে নিয়েছে, নিচ্ছে। রিজভীরা শেষ রহ্মা করতে পারছেন না। কথার কথা ছেড়ে রাজনৈতিক কথা ও ভাষা শিখতে পারছেন না। লণ্ডন বসে তারেক রহমানের ভাষার মাসুল দিতে হচ্ছে এ দেশের রাজনীতিকে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ঘোষণা করেছিলেন, তারেক রাজনৈতিক নাবালক। মুখ বন্ধ করে লণ্ডন থাকুন। না হয় দেশে ফিরে দলে দায়ীত্ব ভারগ্রহন করুন। ফাচুকি কথায় রাজনীতি হয় না। শেখ হাসিনা নাকি শহিদ জিয়াকে শহিদ করেছে। একজন শহিদ কয়বার শহিদ হয়, তারেক রহমান জানেন না বলেই মনে হয়। শহিদ উপাধি কেনো দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য কী যোগ্যতা, কোন পদে আদিষ্ট হতে হয়। জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা করার অধিকার নাই। এমনকি সেনাবাহিনীর প্রধান হলেও না। একজন মেজর কী করে স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে। পাঠক এ কথা আমরা স্বীকার করি। তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভাষা ও জ্ঞান সম্পর্কে দেশের মানুষ বার বার অবগত হচ্ছেন। শহিদ জিয়াকে শহিদ করেছেন শেখ হাসিনা। রিজভীর কাছে এর চেয়ে সুন্দর ভাষা ও কথা শিখার আর কী আছে, রাজনীতির জন্যে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।