জনাব রবিউল আলমঃ রাজনীতির ভাষা নিঃস্বার্থ, কথা হবে দেশ ও জাতির জন্য, যে কথা বলার জন্য হ্ম্যাত্র সৃষ্টি করতে হয়, জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে হয়। রাজনীতির জন্য কথা বলার আগে বাস্তবায়ন করতে পারবেন কীনা হাজার বার চিন্তা করতে হয়। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলার জন্য ২৫ বছর অপেহ্মা করতে হয়েছে। বলার পরে জাতির জনককে জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে, আপোষ করেন নাই।
সিরাজুল আলম খানের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মন্ত্র নিয়ে মজিব আদর্শের দ্বিমত হওয়া থেকে আজও পেছনে ফিরেন নাই। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও হ্মমতার মোহ তাকে গ্রাস করতে পারেন নাই, কথাতো বেরিয়ে গেছে মুখ থেকে। কত মায়ের বুক খালি করার দায় নিয়ে চলে যেতে হবে এই বৈজ্ঞানিক তান্ত্রিককে। আমরা তার মেধা ও জ্ঞানের সঠিক ব্যবহার করতে পারলামনা ভুলের জন্যে। জাতির জন্যে দেশের জন্যে ত্যাগ তিতিহ্মার কমতি ছিলোনা তার মনে, শিহ্মার অভাব ছিলোনা। বিদ্রোহী ভাব, লেখার স্বভাব একগুঁয়েমি চরিত্রের জন্য আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এ কারনেই রাজনীতির জন্য কথা বলার আগে, লেখার জন্য নতুন করে ভাবতে হয়।
আমার লেখার সাথে, কথা বলার সাথে নিজের চরিত্র রহ্মা করতে পারবো কীনা। আমার কথা কেউ থামিয়ে দিবে, নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্যে থেমে যেতে হলে, সেই কথা না বলা, সেই লেখা না লেখাই ভালো। সাঈদ খোকন, ফজলে নুর তাপশ তো থেমে গেছেন। আপনাদের কথার মাসুল যাদেরকে দিতে হয়েছে ? আব্দুল কাদের মির্জা, নিক্সন চৌধুরী কী থেমে যাবেন অলৌকিক কিছুর জন্যে ? নিক্সন, সিরাজুল আলম খান হতে পারবেন না,ইতিমধ্যে আপোষ করে যুবলীগের সহসভাপতি হয়েছেন। কাদের মির্জাও হতে চাইবেন না জীবনের সময় ও আপোষ করার প্রভোনতা আছে তার মাঝে। বিপুল ভোটে জয় যেমন আমাদেরকে আনন্দ দিয়েছেন, জামাতের সাথে কোলাকুলি ব্যাদনার কারন হয়েছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় লেখক, আমাদের আদর্শ পুরুষ বাঙালী জাতীয়তাবাদের দিকনির্দেশক এবিএম মুসা কেও শেষ জীবনে বিদ্রোহী লেখা লেখতে হয়েছে, অনেকেই শেষ অবদী নীতি আদর্শ বিশ্বাসকে বাস্তবায়ন করতে পারেন নাই। আপোষকামি হয়েছেন, বিদ্রোহ জীবন নিয়ে পারি জমিয়েছেন,মোস্তাকের মত বিশ্বাসঘাতক হয়েছেন, চুপ করে আছেন। তাই বলে রাজনীতি, রাজনৈতিক কর্মসুচি থেমে নেই। চক্রান্তের শেষ নেই। ভালো কথার রাজনীতি শেষ হলে মন্দ কথার আবির্ভাব হবে মির্জা ফকরুল, রিজভী, বাবুনগী,মমিনুলরা আছে তো। আব্দুল কাদের মির্জা ও নিক্সন চৌধুরীরা সেখান থেকে কিছু কথার কথা জাতিকে উপহার দিয়ে রিজভী ও ফকরুল হতে চান, নাকি দলের ও জাতির জন্য প্রতিক ? সীদ্ধান্তটা আপনাদের।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।