লেখক, সাহিত্যিক, শিহ্মক, রাজনৈতিক অভিনয় থেকে ও আমাদের পাওয়ার ও নেওয়ার ছিলো,পারলাম কি ?
রিপোর্টারের নাম:
আপডেট টাইম
মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
৯৫
দেখা হয়েছে
জনাব রবিউল আলমঃ কবিগুরু রবিন্দ্র নাথের জাতীয় সংগীত, ছায়া ও মায়া ভরা গানে, বাংলার রূপ পুটে উঠেছে। কবি নুজরুলের বিদ্রোহী কবিতায় পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার সুর উঠেছে।
জাতির জনকর বঙ্গবন্ধু সেই সুরের বাশরীতে সুর উঠিয়েছেন, বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে উঠিয়েছেন, পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করেছেন। সাহিত্যিক সরৎ চন্দ্র চট্রোপাধ্যায় জাত ধর্ম বর্ণের গোরামী থেকে মুক্তি দেওয়ার লহ্মে নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। হুমায়ুন আহমেদ, ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, শহিদুল্লা কায়সার সহ অগুনতি লেখকরা সমাজ পরিবর্তনে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছেন। জহির রায়হানের জীবন থেকে নেওয়া, সত্যজীৎ রায়ের চলচ্চিত্র বাঙালির জীবন ধারনে পথ আবিস্কারক বলা হয়। রাজ্জাক, কবরী, ববিতা, শাবানা, সুভাষ দত্ত। সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায়রা হাতে কলমে বাঙালির সমাজ, সংসার, জীবন ধারন শিখিয়েছেন।
আমরা কতটুকু নিতে পেরেছি ? নেওয়া ও পাওয়ার অনেক কিছুই ছিলো। সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায়ের পয়ানে বাংলা চলচ্চিত্রের একজন আইকনকে হারালো। সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসারের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু হলেও শ্রেষ্ট অভিনয়ের আকহ্মেপ মিটাতে পারেন নি বলেই অভিনয়ে অতিপ্ত ছিলেন। বাঙালী জাতি কিন্তু সৌমিত্র দার অভিনয়ে বিকল্প আবিস্কার করতে পারেন নি।
চলচ্চিত্র উন্নয়নের সরকারের বিমুখের জন্য নিজের পুরস্কার পদ্মভূষণ প্রত্যাহ্মান করেছিলেন। শত পুরুস্কারের মাঝে জনগনের ভালোবাসা, ভালোলাগা পুরুস্কারকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ট পুরুস্কার মনে করতেন। স্ত্রী বাঙালি, আমাদের জাতিও বাঙালি, বাঙালি সংস্কৃতি জাতিয়তাবাদ, চলচ্চিত্র, নাটকের মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। আমরা একটি নহ্মত্র হারালাম। নিতে পারলামনা কিছুই। কবিগুরু রাবিন্দ্র নাথ, বিদ্রোহি কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জাতির জনকে পথে বাঙালির মুক্তি হয় নাই। পরিপূর্ণ বাঙালি জাতিকে, বাংলা ভাষাকে মুক্ত করতে পারলামনা।
মানচিত্রের মাঝে একটা ধর্ম রেখা একে দেওয়া হয়েছে হিন্দু, মুসলমানের। ভাষাকে বিশ্ব দরবারের পরিচিতি থেকে আটকাতে, বন্দী করতে পারেনি। পারেনি জাতিসংঘের সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত করতে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব রহমান কাজটি সঠিক ভাবেই পালন করেছেন।
৭৫ পটপরিবর্তনের পর কিছুটা ভাষাকে বন্দী করা হয়েছিল। দুই বাংলার সংস্কৃতি জগতের বাধাহীন, আপোষহীনতার জন্য ভাষাকে বন্দী করতে পারেন নাই ধর্ম ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ভারতে হিন্দু মৌলবাদ, বাংলাদেশ মুসলিম মৌলবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে না পারলে, সব ত্যাগ ব্যার্থ হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।