গার্মেন্টস কর্মী, শ্রমিক ও খেঁটে খাওয়া মানুষেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে ফেলার অধিকার কারো নেই।ঘন্টায় ঘন্টায় সিদ্ধান্ত অদল বদলের মধ্য দিয়ে ঢাকামুখী চাকরিজীবীদের যে হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়, এবং ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যুসহ, যে হ-য-ব-র-ল এর সৃষ্টি হয়েছে তা লকডাউনের তামাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি – এনডিপি।
আজ ২ আগস্ট, ২০২১ সোমবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর সারাদেশ থেকে অর্ধ কোটিরও বেশি শ্রমিক, কর্মজীবী শত শত মাইল পথ পায়ে হেঁটে, ছোট যানবাহনে গাদাগাদি করে দশ থেকে পনের গুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসছে। ঘন্টায় ঘন্টায় সিদ্ধান্ত অদল বদলের দৃশ্য দেখে মনে হয়, আমরা কোনো যাত্রামঞ্চের দৃশ্য দেখছি। যারা এসব সিদ্ধান্ত দেন, তারা কি ভুলে গেছেন এটি যাত্রাপালার কোনো মঞ্চ নয়। প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ও সফলতাকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিপর্যস্ত করে তুলেছে। হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার গার্মেন্টস কর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে, ভ্যানে, টেম্পু, সিএনজিতে আসার কারণে অতিরিক্ত টাকা যেমন গুনতে হয়েছে,তেমনি শুধু টাকাই গুনতে হয়নি এতে করে সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে পড়েছে ১৩ টি জীবন, আহত হয়েছে শতাধিকের উপরে এদের দায়ভার কে নিবে? সরকার ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল। সেখানে এমন কি ঘটল, যেখানে ২৪ ঘন্টার নোটিশে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হল।যেখানে প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে,সেখানে কাদেরকে খুশি করার জন্য এমন তুঘলকি সিদ্ধান্ত। নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা সরকারের মধ্যে থেকেও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন,তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রত্যেকটি নাগরিক যেন ভ্যাক্সিনের আওতায় আসতে পারে সেজন্য যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে এবং প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড আছে, ওই আইডি কার্ড দেখিয়ে ভ্যাক্সিন দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং সব গার্মেন্টস ও শিল্প-কাখানা কর্মীকেও টিকা দেয়া নিশ্চিত করা। সবার খাদ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত হয়ে লকডাউন দিন নয়তো গণপরিবহন খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আরো সচেতনতা মূলক কর্মকান্ডে জোর দিন।