রবিউল আলমঃ র্যাব ও মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বিশ্বের অজানা নয়। রেডইণ্ডিয়ানদের উপর কি পরিমান জুলুম অত্যাচারের। বাঙালি জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস এখন আর লুকানো নয়। এখনো তার হত্যাকারীদের কে আশ্রয় প্রশ্রয়ে আছেন। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ হত্যাকাণ্ডের বিবরন এই পৃথিবীর অজানা নয়। আমাদের র্যাব সব ভালো কাজ করেছে, আমি তা বলছি না। মানুষ মাত্রে কিছু ভুল হতেই পারে।বাংলাদেশের র্যাবের ও হয়েছে, তবে এই ভুলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। পৃথিবীর মুসলিম দেশে জঙ্গিবাদের বীচ রোপন করেন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব মুসলিমরা জঙ্গিবাদিদের নির্মুল করতে না পারলেও বাংলাদেশের র্যার বিশ্বকে বিস্ময় করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি নির্মুলে। বাংলাদেশ কে চোখ রাঙাতে পারছে না। জঙ্গিবাদের ধুয়ায় কোনো কাজ হচ্ছে না, বিমতের রাজনৈতিক একশন হরতাল অবরোধ, ধর্মঘট কোনো কাজে আসে না। পাকিস্তানের ইমরান খানের মতো অনাস্থায় শেখ হাসিনাকে কাবু করা যাচ্ছে না।ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ হারাতে বসেছে। সৌদি আরব, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, ভারত ইতিমধ্যে গ্রীন সিগনাল দিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর চৈতন্য ফিরে আসার আসংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র দিশেহারা। তুরস্ক ও ইউরোপের অনেক দেশ নিরপেক্ষ ভুমিকায়। ন্যাটো ভবিষ্যৎ অন্ধকার, না আলোর রাশি ছড়াবে, তা এখন ভবিষ্যতের উপর নির্ভর। বাংলাদেশের র্যাবের উপর জ্বালা মিটিয়ে কি ইউক্রেন জয় করা যাবে ? জেলেস্কি ইতিমধ্যে পরিস্কার করে বলেই দিয়েছে। ন্যাটো রাশিয়াকে ভয় পায়। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় র্যাব ও তাদের পৃষ্ঠ পোষকতায় সৃষ্ট জঙ্গিদের মধু দিয়ে লালন পালন করবে না। ইউক্রেন যুদ্ধের পরে, আমি দেখছি যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পরবে। যুদ্ধকে সমর্থন না করলেও পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় একটা যুদ্ধের প্রয়োজন ছিলো। একক সাম্রাজ্যে বিশ্ব চলতে পারে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।