জনাব রবিউল আলমঃ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। কবি গুরু রাবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের অমর বানী আমাদেরকে প্রতি মুহুর্তে মনে রাখতে হয়, স্মরন করতে হয় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য। বিশ্ব মোড়লদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই পদ্মাসেতু আজ উদীয়মান। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বিশ্বে প্রসংশিত,বাঙালী জাতি গর্বিত আত্ন মর্যাদা রহ্মা হওয়ার জন্য। বিশ্ব ব্যাংক প্রমান করতে পারেনি দুর্নীতির, কত খরচ হয়েছে টাকা দিয়ে মাপার হ্মমতা নাই পদ্মাসেতুর। তার পরেও যারা প্রশ্ন তোলার, তারা তোলবেই বাঙালীর মাঝে সেতুবন্ধনের জন্য। রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনের লাভ হ্মতি বুজার হ্মমতা যাদের নাই, তাদের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করার রুচি আমার নাই। তবে জাতির কাছে, দলের কাছে দায়বদ্ধতা থেকেই আলোচনা করতে হচ্ছে। তিন বছর আগেই রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে ঠেঙ্গার চর আমাদের অর্থনীতির পাতার লেখেছিলাম। আজ সেই লেখার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে বলেই আমি মনে করি। পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে, মানবতার জয় হবে, মাদক ও পরিবেশ রহ্মা পাবে, অর্থনৈতির অঞ্চল হবে ভাসান চর,রোহিঙ্গারা হবে কর্মদহ্ম, বিনিময় হবে সারা বিশ্ব। আমরা প্রমান করবো জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, আশির্বাদ। রোহিঙ্গা সমস্যার নেয় সংগত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অতি উত্তম বলেই একদিন প্রমান হবে পদ্মাসেতুর মতো। মিল্ক, মিট, ফিস পেকেজিং, গার্মেন্টসে, পশুপালন ও কৃষি দিয়ে শুরু করলে ভারতীয় গরু-মহিষের পাচারকৃত ৪৯ হাজার কোটি রূপি অবৈধ পাচার বন্ধ করা যাবে। সীমান্ত হত্যা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যাবে। যারা আজ একের পর এক প্রশ্নের উত্তর খুঁজেন, তারা পদ্মাসেতু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ষড়যন্ত্র করেছেন, ভাস্কর্য নিয়ে রাজনীতি করছেন,হুঙ্কার দিচ্ছেন। রাজনীতির রং কতো দেখানো চেষ্টা করছেন। বাঙালী জাতি আর বিশ্বাস করেন না বলে, শেখ হাসিনার উপর আস্তার আছে বলেই মানবতার জননী উপাধিতে ভুষিত করেছেন। এখন রোহিঙ্গাদের শিহ্মা ও কারিগরি দহ্মতায় গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের জীবনমান সম্পর্কে সচেতন করতে হবে নিজেদের প্রয়োজনেই। আমাদের ডাক শুনে কেউ না আসলে, শুধু এনজিওদের সাহায্যের উপর নির্ভর করে দীর্ঘ সময় চলতে পারে না, তাদেরকে রোহিঙ্গা নিয়ে অপ রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা কখনো মানুষ হবে না। তুরস্ক সহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনে ভাসান চরকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ব একদিন শেখ হাসিনাকে রোহিঙ্গা পুর্ণবাসনের জন্য মাদার অবদি হিউম্যান উপাধিতে ভুষিত করবেন। মৃত্যু পরেও অমরত্ব হয়ে থাকবেন বিশ্বের কাছে। লাভ আর হ্মতি বিবেচনা করে মানবতার জননী উপাধি পাওয়া যায় না, এতিমের টাকা চুরি করা যায়,ডান্ডিডাইং এর ব্যবসা করা যায়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।