রানিজ্যের দ্বিতীয় খাত চামড়া ধ্বংসকুপ থেকে রক্ষার কবজ বাধবে কে ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Monday, July 26, 2021
217 Time View
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন, চামড়া জাতপন্য থেকে ৫ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষমাত্রা নিয়ে আধুনিক শিল্প নগরীর গড়ে তুলেছিলেন। নিজে স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতিকে।সরকার প্রানপন চেষ্টা করছেন চামড়াকে ধ্বংসকুপ থেকে টেনে তুলতে। বানিজ্য মন্ত্রনালয়, ভোক্তা অধিকার, রপ্তানি উন্নয়ন বুরো,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ চেষ্টার ক্রুটি নাই।চামড়াকে পঁচন ঠেকাতে পারলাম না। মিডিয়ার ও সুশীল সমাজের মন্তব্য সিন্ডিকেট। এই একটি মাত্র মন্তব্যের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে না। সব সমস্যার সমাধান একবারে,করাও যাবে না। জাতীয় সম্পদ রক্ষায়, জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে। চামড়ার পঁচনধরা প্রতিরোধে। কোরবানী আসলেই বানিজ্য মন্ত্রনালয় তোরজোর করে লাভ নাই। বছরের প্রতিদিন জনগণকে সচেতন করার জন্য সরকার, মিডিয়া, সমাজের উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে এতিখানা, মাদ্রাসা, মসজিদ কমিটির, সর্ব সাধারন ও কোরবানি দাতাকে গরুর চামড়ায় একশত টাকার ও ছাগলের চামড়ায় দশ টাকার লবন দিয়ে দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার পরামর্শ দিতে হবে। এই একটি কথা আমি বার বার লেখছি। কবে জাতীয় পর্যায় এই একটি কথা নিয়ে গবেষণা হবে জানিনা।সম্ভব হলে এক কোটি বিশ লক্ষ কোরবানীর চামড়া পাঁচ মিনিটে লবন দেওয়া সম্ভব পঁচনরোধো । সাথে যুক্ত করতে হবে মাংস শ্রমিকের প্রশিক্ষন। এক কোটি বিশ লক্ষ কোরবানীর পশু জবাইয়ে কম করে হলেও এক কোটি শ্রমিকের প্রয়োজন। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের প্রশিক্ষন নিজস্ব উদ্যোগে মাঠ পর্যায় হতে হবে। লোক দেখানো সভা সমাবেশের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রাখলে লক্ষ মাত্রা অর্জন হবে না। চামড়া জাতপন্য উৎপাদনে বেসরকারী শিল্পের সাথে সরকারি ও বিদেশী শিল্পকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। নিজের হৃদয়কে শান্ত করতে পারছিনা বলেই এতোগুলা কথা লিখতে হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিকে নিয়ে চামড়া রক্ষণাবেক্ষণ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। স্বয়ং আমিন বাজার চামড়ার আড়েৎর সামনে ছাগলের ও মাথার চামড়া পঁচে পরে আছে। মৌসুম ব্যবসায়ী সুখেন খাঁন মাদ্রাসা থেকে বিনে পয়সায় কিছু ছাগলের চামড়া, গরুর চামড়ার সাথে দিয়েছিল জাতীয় সম্পদ মনে করে। ট্যানারী থেকে চামড়া গুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হলো। আমি চামড়াজাত পন্যের সাথে ৫০ বছর যুক্ত হওয়াতে হৃদয়কে সামলাতে পারছিলাম না। সুখেনের হৃদয় কেনো কাঁদে ? দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সুখেনের মতো জাতীয় সম্পদের জন্য দরদ সৃষ্টি করতে হবে। শুধু সিন্ডিকেট বলেই নিজেদের দায়ীত্ব শেষ করা যাবে না। সিন্ডিকেট করার জন্য যারা দায়ী, দায়ীত্ব না নিয়ে সিন্ডিকেট বলার অধিকার ও আপনাদের নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।