জনাব রবিউল আলমঃ রাজনৈতিক অর্জনের মহাপুরুষ বলা হয় বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে। নিঃস্ব অধিকার বঞ্চিত, দিকনির্দেশনা বিহীন একটি জাতিকে মুক্ত স্বাধীন মানচিত্র উপহার দেওয়ার জন্য।ইতিহাসের অমরত্ব অর্জন করে নিয়েছেন।তাকে অর্জনের মহাপুরুষ বলা হয়। রাজনৈতিক রহস্য পুরুষ আমার দৃষ্টিতে সিরাজুল আলম খান শিহ্মা, মেধা বুদ্ধি, কৌশল বিস্তার, অর্জন সবই ছিলো, সমাজতন্ত্রের ভুল ব্যাহ্মায় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নামে সবি হারাতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া বাকীটা সময় জাতিকে দ্বিধাদণ্ডের মাঝে জরিয়ে নিজেকে আড়াল করেই রাখা হলো। নীতিভ্রষ্ট হন নাই রাজনীতি থেকে। নিজের জন্য, না দেশ ও জাতির জন্য কোনো অবদান রাখতে পেরেছেন। জীবনের শেষ সময়ও সিরাজুল আলম খান রাজনৈতিক রহস্য উম্মুচন করতে পারলেন না। বঙ্গবির কাদের সিদ্দিকীর অতিবচনে জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি অতি বিকৃত হয়েছে। রাজনীতির বিস্ফোরক ফিদেল কাস্ত্রো জীবনের শেষ সময়টুকু ও দেশ, জাতির জন্য ব্যয় করতে পেরেছিলেন সমাজতান্ত্রিক মনবলের জন্য,সমাজতন্ত্র মনে ধারন করতে না পারলে, সমাজে বিস্তর হয় না। সিরাজুল আলম খান ছাড়া বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মুলমন্ত বুজার মত আর কেহ ছিলনা, আজও নেই। রাজনীতি বুঁজে, না বুঁজে , ত্যাগে আর ভোগের পরিনত করেছেন অনেকেই, উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছেন একজনই, ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন রাজনৈতিক বহুবচনের অধিকারী, কখন কাকে, কোন দলকে কী বলে ফেলেন : বুজাই দায় হয়ে পরেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজও জাতির সেবায় নিয়জিত। জাতির জনকের বিতর্কে একনিষ্ঠ। জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী নীতিতে আপোষহীন। সমাজতন্ত্রের মন মানসিকতা নিয়ে বিএনপি-জামাত কে সঠিক বেঠিক পথের সন্ধানদাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারেক রহমান সহ বিএনপির অনেক নেতা ও নীতির সমালোচক বলা হয় জাফরুল্লাহ কে। এমনকি সেনাবাহিনীর প্রধার আজিজ আহম্মেদ কে নিয়েও বিতর্কে জরিয়ে ছিলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য নেতা কর্মীদের কাছে হ্মমা চাওয়ার ঘটনাকে নাটক বলে চিহ্নিত করতেও দ্বিধা করেন নাই। জাতির কাছে হ্মমা চাইতে বলেছেন। কে জাতির কাছে হ্মমা চাইবে ? বিএনপি, নাকি বিএনপির নেতারা স্পষ্ট করেন নাই। সবার আগে টিকা নিয়েছেন, মাদ্রাসার বলৎ কারীদের চিহ্নিত করেছেন, ভাস্কর বিতর্কে ধর্মকে আলাদা রাজনৈতিক হাতিয়ার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ধর্মীয় শিহ্মা গ্রহনে তালিম নিচ্ছেন। প্রতিদিন তাঁকে নিয়ে বক্তা বিব্রতি পর্যালোচনার শেষ নাই। কখন কোন কথা বলে বসবেন মিডিয়ার খোরাক মিটাতে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক রহস্যের পুরুষ কীনা জানিনা, তবে নিজেকে বাচিয়ে গনস্বাস্থ্য টিকিয়ে রাখার জন্য পার্দশী বলতে পারেন। বুড়ো বয়সে জেল খাটতে চান না বলেই আল-জাজিরা নিয়ে কথা বলেন নাই। রাজনৈতিক রশিকতা কতপ্রকার ? ডক্টর জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শিহ্মক হিসেবে না পাইলে বুঝতে পারবেন না। আমার মত হতভাগাদের জন্য কোনদিন সম্ভব ও হবে না রাজনৈতিক রহস্য সম্পর্কে জানা ও উম্মুচন করা। জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেরকেই স্যালুট দিতে হবে বিএনপি-জামাতের বান্দর নাচের শিহ্মক হিসেবে, খালেদা জিয়ার নাচার মত শক্তি নাই জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বুঝতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।