রবিউল আলমঃ করোনার ক্লান্তিকাল, রাজনৈতিক কর্মসুচির অভাব, বাংলাদেশের উত্থান, ভারতে অর্থনীতির সাম্রাজ্য হারানোর ব্যাদনা, বহিবিশ্বে নিরব পর্যবেক্ষনের শিকার হচ্ছি কি আমরা ? করোনাকালে বহিবিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে আল্লাহপাক একটু আলাদা চোখেই দেখেছেন মনে হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইবাদত, রাত্রীকালিন তাহাজ্জুদ এর নামাজ, কোরআন থেকে তেলোয়াত, আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের বিনিময় হয়তো বাংলাদেশকে আসমানী গজব করোনা ভাইরাস থেকে রহ্মা করে চলেছেন।
রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক কর্মসুচি নাই বলেই চলে। না গঠনমূলক বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি, জনগণকে সুসংগঠিত রাখতে পারে। এই সুযোগে দেশে কি অপরাজনীতি শুরু হয়ে গেলো ? ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ক্যাসিনো, মাদক, জাল জালিয়াতির, সরকারী অর্থলুট, ব্যাংকের টাকা পাচার, সাইভার ক্রাইম, নেতাদের হ্মমতা প্রদর্শন, পুলিশের হ্মমতার অপব্যবহার, আঃলীগ মানি বাংলাদেশ হয়ে যাওয়াকে শেখ হাসিনা ভালোভাবে সামাল দিয়েছেন অপরাধীদের কে হাতকড়া উপহার দিয়ে। ফুটো কত প্রকার, কি দিয়ে সামাল দিবেন ?
বাংলাদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন প্রতিবেশী ও বহিবিশ্বের সাথে সম্পর্ক বিস্তার, জীবন মান থেকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগের হিড়িক পরেছে ছিটমহল বিনিময় থেকে। রোহিঙ্গা ইসু দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, ভাষান চরে পুর্ণবাসনকে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। এতে ও সরকারকে টলাতে পারছেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ভাষাণ চরের পুর্ণবাসন শুরু করা হবে। বাংলাদেশের উত্থানে চীন, ভারতকে সামাল দেওয়ার কঠিন সময় কোরাআন অবমাননা নিয়ে চলছে হুলুস্থুল, ফ্রান্সে নবীজীকে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘৃনা করার ভাষা নাই আমার কলমে। প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করলো না।
বাংলাদেশ মানুষ পিটিয়ে মারা, আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু হয়ে গেলো। আমারা কি নবীজিকে অনুসরণ করছি? ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করছি ? করলে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব বৈকট না করে বাংলাদেশে কেনো মানুষ পিটিয়ে মারছি ? প্রশ্ন গুলো সহজ, উত্তর পাওয়া কঠিন, দেওয়ার মানুষ নাই। অপরাধ গুলো মানুষ নিজের অজান্তেই করে চলেছে দেশপ্রেমের অভাবে।দেশপ্রেমের মাধ্যম রাজনীতি এখন গৃহবন্দী, বিকলাঙ্গ, দেশত্যাগী, ধর্ম নিয়ে ব্যাস্ত। বাংলার মানুষের বিশ্বাস এখন শেখ হাসিনাকে ঘিরে, আঃলীগ কি সেই বিশ্বাসের মর্জাদা রহ্মা করতে পারছেন। একাধিক বার বলা হচ্ছে ত্যাগী, আদর্শবানদের রাজনীতিতে উৎসাহিত করুন সমাজ, দেশ ও রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে চাইলে। কে কার কথা শুনছেন, দায়ীত্ব পাওয়ার পরে একাধিক বার কমিটি ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে নেত্রীকে স্বচ্ছ কমিটির আশায়। এখনো কত শত জেলা, নগর, মহানগর, ওয়ার্ড ইউনিয়ন, সহযোগী কমিটি পুর্ণাঙ্গ করা হয় নাই, করতে পারেন নাই, রাজনৈতিক পুর্ণাঙ্গতা আসবে কোথা থেকে।
রাজনীতিকে পুর্ণাঙ্গ করতে ব্যার্থ হলে অপরাজনীতির উত্থান ঠেকাতে পারবোনা। জাতি বুঝতে না পারলে শেখ হাসিনার অর্জন আমরা ভোগ করতে পারবোন। ধর্মকে ফ্রান্সের ব্যাঙ্গচিত্রের মাঝেই আবদ্ধ রাখবেন ? নাকি বিশ্ব মানবের মাঝে বিস্তার করবেন ? সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের ধর্মগুরুদের। আমাদের দিনের নবী হুজুরের পাক (সাঃ) এত ঠুনকো ভাবে ইসলাম প্রচার করেন নাই ফ্রান্সের এ ব্যাঙ্গচিত্রে শেষ হয়ে যাবে।বং ফ্রান্সকে একদিন মুল্য দিতে হবে ব্যাঙ্গচিত্রের জন্য । আমাদেরকে সাবধান হতে হবে দেশ ও জাতিকে রহ্মা করার জন্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।